সামাজিক যোগাযোগের সাইট দুশ্চিন্তার কারণ?
কমবয়সী, বিশেষ করে টিনএজার ছেলেমেয়েরা এ যুগে ভীষণভাবে ব্যবহার করে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম অথবা টুইটার-এর মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। তবে এই অতিরিক্ত ব্যবহার হতে পারে হতাশা, উদ্যমহীনতা অথবা অহেতুক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ ফলাফল উঠে এসেছে। আর এ খবর জানা যায় স্কাই ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত এই গবেষণামতে, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা অনলাইনে বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখার চিন্তা মানুষের দৈনন্দিন কাজে ভীষণভাবে ব্যাঘাত ঘটায়, এমনকি তা অনিদ্রাজনিত রোগেরও উৎস হতে পারে।
অবশ্য এই গবেষণার সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হিদার উডস বলেন, ‘টিনএজে সব ছেলেমেয়েই হরমোনজনিত কারণে কিছুটা হলেও হতাশা অথবা উদ্যমহীনতার শিকার হওয়ার শঙ্কায় ভোগে। আমাদের বুঝতে হবে, এই আচরণগুলোর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সম্পর্কটা কী। যতদূর জানা যাচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারের সঙ্গে উপর্যুক্ত সমস্যাগুলোর যোগসূত্র আছে। তবে ঠিক কী কারণে এমনটা হয়, আমরা নিশ্চিত নই।’
এদিকে ব্ল্যাকবার্ন কলেজে স্কাই ডটকমের এক সাক্ষাৎকারে কয়েকজন কিশোর জানায়, ফেসবুক বা ওই জাতীয় মাধ্যমগুলো ব্যবহার করার জন্যই তাদের অনেকে অহেতুক রাতে জেগে থাকে। এ ছাড়া পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজেও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য এই অনলাইন সাইটগুলো খুবই কার্যকর।
এদিকে, ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল সোসাইটি ৪৬৭ কিশোর-কিশোরীর ওপর জরিপ চালিয়ে বলেছে, তাদের ৯০ শতাংশই সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করে থাকে।
বর্তমানে ফেসবুক অথবা টুইটারের মতো সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা খুব দ্রুত বাড়ছে। এ বছরের মার্চ নাগাদ ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৪০ কোটির মতো, টুইটার ব্যবহার করত প্রায় ৩০ কোটির বেশি মানুষ।