ত্রুটির কারণে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল যেসব ফোন
নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি নোট ৭ নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছে স্যামসাং। ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এসব ফোন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফোনগুলো ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করবে স্যামসাং। ত্রুটিপূর্ণ এই মডেলের ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরণের খবরে বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্যামসাংকে। আর্থিক ক্ষতি যেমন হচ্ছে, তেমনি স্যামসাংয়ের সুনামও নষ্ট হচ্ছে এসব কারণে।
বাজার-বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, অ্যাপলের নতুন মডেল আইফোন ৭-এর আগে গ্যালাক্সি নোট ৭ মুক্তি দিতে গিয়েই তাড়াহুড়া করেছে স্যামসাং। আর সে কারণেই ফোনগুলোর ব্যাটারিতে বড় ধরনের সমস্যা রয়ে গেছে। তবে ত্রুটিপূর্ণ ফোন ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এ রকম কিছু ফোনের খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ফার্স্ট টেক।
এ ঘটনা প্রথম ঘটে ২০০৩ সালে। ত্রুটির কারণে মোবাইল প্যাল নামে একটি ফোন সে সময় ফিরিয়ে নিয়েছিল সিকিউর অ্যালার্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ট্র্যাক গ্রুপ নামে ব্যবসা পরিচালনা করছে সিকিউর অ্যালার্ট।
২০০৪ সালে কিয়োসেরা ওয়্যারলেস করপোরেশন ‘কিয়োসেরা ৭১৩৫’ মডেলের এক লাখ ৪০ হাজার ফোন বাজার থেকে তুলে নিয়েছিল। এই ফোনগুলোর ব্যাটারিও বিস্ফোরিত হচ্ছিল। তবে এতে গুরুতর কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
২০০৮ সালে ‘সাউন্ড স্টেশন ২ডব্লিউ’ মডেলের ওয়ারল্যাস কনফারেন্স ফোনগুলোতে ব্যাটারি সমস্যার কারণে বাজার থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ব্যাটারি সমস্যার কারণে সেই ফোনগুলোও বিস্ফোরিত হতো।
২০১৪ সালে পপকিলার নামে একটি প্রতিষ্ঠান তাদের ত্রুটিপূর্ণ ইউএসবি চার্জার ও অ্যাডাপ্টর বাজার থেকে ফিরিয়ে নেয়। সার্কিটে ত্রুটি থাকার কারণে এসব চার্জার ও অ্যাডাপ্টর থেকে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি ছিল। তবে দ্রুত এসব চার্জার বাজার থেকে তুলে নেওয়ায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সময় ত্রুটি থাকার কারণে মোবাইল প্যাল, এলজি ৮৩০ স্পাইডার এবং ক্রিকেট ইজেড ফোনগুলোর বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
তবে স্যামসাংই এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাদের ফোন দুবার বাজার থেকে ফিরিয়ে নিতে হয়েছে। ২০০৯ সালে এক লাখ ৬০ হাজার স্যামসাং জিটারবার্গ সেলফোন বাজার থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যেসব এলাকায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যেত না, সেসব এলাকায় এই ফোনগুলো ব্যবহার করে ইমার্জেন্সি কল করা যেত না। আর সে কারণেই ফোনগুলো ফিরিয়ে নেওয়া হয়।