ইউরোপে বাড়ছে ফ্যাবলেটের বিক্রি
একটু বড় আকারের স্মার্টফোন- যেটি দিয়ে ফোন এবং ট্যাবলেট দুটোর কাজই হয়ে যায়, তাকে বলা হয় ফ্যাবলেট। একটি ডিভাইসে দুই ডিভাইসের সুবিধা থাকায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাড়ছে ফ্যাবলেটের চাহিদা, এমনটাই জানা গেল ম্যাশেবলের এক খবর থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কান্টার ওয়ার্ল্ডপ্যানেল কম টেক একটি গবেষণা করে জানিয়েছে, আইফোন সিক্স প্লাস বাজারে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ফ্যাবলেটের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাধারণত পাঁচ ইঞ্চি পর্দার স্মার্টফোনগুলোকেই ফ্যাবলেট বলা হয়ে থাকে। কান্টারের গবেষণায় বলা হয়েছে, এ বছরের প্রথম চার মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যত স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে তার মধ্যে ২১ শতাংশ ফ্যাবলেট।
গত বছরের একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ফ্যাবলেটের বিক্রি ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। সে তুলনায় এ বছর ফ্যাবলেটের বিক্রি বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
অ্যাপলের নতুন স্মার্টফোন আইফোন সিক্স প্লাসে রয়েছে ৫.৫ ইঞ্চির পর্দা। যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাবলেট বিক্রির ৪৪ শতাংশ বিক্রি দখল করে রেখেছে আইফোন সিক্স প্লাস। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এখন যত আইফোন বিক্রি হয়, তার মধ্যে ১৮ শতাংশ বিক্রি হয় আইফোন সিক্স এবং সিক্স প্লাস।
কান্টারের গবেষণায় বলা হয়েছে, এসব ফোনের বিক্রি বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ বড় পর্দা। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩ শতাংশ আইফোন ব্যব্হারকারী এবং ৪৭ শতাংশ অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীদের কাছে বড় পর্দার ফোনের বেশ চাহিদা রয়েছে।
ব্যবহারকারীরা কেন বড় পর্দার ফোন বেশি কিনছেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা না থাকলেও অ্যাডোবের প্রিন্সিপ্যাল অ্যানালিস্ট তামারা গেফনি বলেন, ‘ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগের জন্য ব্যবহারকারীরা এখন স্মার্টফোনেই বিনামূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পাচ্ছে। বড় পর্দার ফোন হাতে থাকলে অনলাইনে আরামসে ভিডিও দেখা যায়। আর সে জন্যই বড় পর্দার ফোনের দিকে ঝুঁকছেন ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়া গেমিংয়ের জন্যও বড় পর্দার ফোনের চাহিদা রয়েছে।’
কান্টারের গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, ইউরোপজুড়ে অ্যানড্রয়েড ফোনের বিক্রি কমেছে ৩.১ শতাংশ হারে। তবে এখনো ৬৮.৪ শতাংশ ব্যবহারকারী অ্যানড্রয়েড চালিত স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। ইউরোপের প্রধান পাঁচটি দেশ যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনে সাম্প্রতিক সময়ে আইফোনের বিক্রি বেড়েছে ২০.৩ শতাংশ হারে।
উইন্ডোজ অপারেটিংয়ে চালিত লুমিয়া সিরিজের বেশ কয়েকটি ফ্যাবলেট রয়েছে। তবে অ্যানড্রয়েড বা আইফোনের তুলনায় ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে উইন্ডোজে ফোনের কাটতি কম। ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সে উইন্ডোজ ফোনের বিক্রি বেড়েছে ১৪ শতাংশ।