স্মার্টফোনের বিপরীতে লাইটফোন
নিত্যনতুন স্মার্টফোন আর তাদের চমকপ্রদ সব সুবিধা নিয়ে সবাই যখন খুব ব্যতিব্যস্ত, তখন চিন্তা করুন এমন এক ফোন, যেখানে রয়েছে শুধু কল করার সুবিধা। স্মার্টফোনের ঠিক উল্টো এই ফোনের নাম লাইটফোন।
শুধু ফিচারের দিক থেকে নয়, ডিজাইনের দিক থেকেও একদম সাদামাটা এই লাইটফোন। একটি ক্রেডিট কার্ডের সাইজের এই ফোন বেশ পাতলাও বটে। আর তাই খুব সহজে আপনি আপনার মানিব্যাগ কিংবা পার্সে বহন করতে পারবেন লাইটফোন।
এই ফোন ব্যবহার করার জন্য আপনার প্রয়োজন শুধু একটি সিমকার্ড। শুধু কল করতে এবং ধরতে পারবেন লাইটফোনের সাহায্যে। ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মেসেজিং কিংবা গেম—কোনো কিছুরই দেখা মিলবে না স্মার্টফোনের উল্টো এই সংস্করণটিতে।
তবে এখানে কিন্তু বড় একটি সুবিধা থাকছে, একবার চার্জ দিলে লাইটফোন ব্যবহার করা যাবে সর্বোচ্চ ২০ দিন পর্যন্ত! দামের ব্যাপারে অবশ্য এতটা ছাড় দেয়নি লাইটফোন, কিনতে চাইলে আপনাকে গুনতে হবে ১০০ ডলার।
লাইটফোনের নির্মাতা জো হোলিয়ার ও কাওয়ে ট্যাং। তাঁরা গুগলের ‘থার্টি উইকস ইনকিউবেটর’ প্রজেক্টের অধীনে এই ফোনের ডিজাইন করেন। কিন্তু যখন মানুষ আরো বেশি সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন পণ্যের দিকে ঝুঁকে আছে, তখন কেন এই ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হবে। আর কেনই বা এ ধরনের একটি ফোন নির্মাণের ধারণা এলো তাঁদের মাথায়?
এর কারণ বললেন নির্মাতাদের একজন জো হোলিয়ার। তাঁর মতে, ‘আমাদের এই ফোন তৈরি করার পেছনে একটি কারণ, মানুষের যোগাযোগ-প্রযুক্তি ব্যবহারের একটি ভারসাম্য আনয়ন করা। এর মানে এই নয় যে, আমরা নতুন প্রযুক্তির বিরোধী। আমরা চাই, আমাদের প্রতিদিনের মুহূর্তগুলো যেন প্রযুক্তির ভারে চাপা না পড়ে যায়।’
প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করার বদলে যান্ত্রিক করে দিচ্ছে কি না—এই বিতর্ক অনেকটাই উসকে দেবে এই ফোন, ধারণা এর নির্মাতাদের।
আগামী বছর ২০১৬ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে লাইটফোন উৎপাদন শুরু হবে। নিরূপদ্রব প্রযুক্তি ব্যবহারে যাঁদের আগ্রহ, তাঁদের মাঝে খুব সহজেই জনপ্রিয়তা পাবে লাইটফোন, এমনটাই মনে করছেন নির্মাতাদ্বয়।