অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করা হবে : পলক
সরকার, একাডেমিয়া, শিল্প, এনজিও, আন্তর্জাতিক এনজিও এবং মিডিয়ার মতো বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
গতকাল বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) যৌথ উদ্যোগে ‘গভস্ট্যাক’ এর সহযোগিতায় সরকারের ডিজিটাল রূপান্তরবিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত এক দশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে বৈপ্লবিক অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে। আগামী ১৭ বছরের মধ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশের একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে, মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার, কমপক্ষে ৫০টি ইউনিকর্ন এবং ৫০ বিলিয়ন ডলারের আইসিটি শিল্প থাকবে।
আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইটিইউ এর আঞ্চলিক পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) অতসকো ওকোডা, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর প্রকল্প পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ ভূঞা, পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আমরা তাকাব এমন এক পৃথিবীর দিকে, যেখানে বিজ্ঞান ও কারিগরি জ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতির যুগে মানুষের সৃষ্টি ক্ষমতা ও বিরাট সাফল্য আমাদের জন্য এক শঙ্কামুক্ত উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনে সক্ষম। পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি থেকে উন্নত ভবিষ্যৎ এবং বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি এবং সংস্থান ভাগ করে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে যাতে সর্বত্র মানুষ একটি শালীন জীবনের ন্যূনতম শর্ত উপভোগ করতে শুরু করতে পারে। প্রতিমন্ত্রী পলক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, সরকারি সেবার অভিগম্যতা, সেবা ডিজাইনে ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিতকরণে ‘হোল অব গভর্নমেন্ট ডিজিটাল ট্রান্সমিশন লেভেরেজিং গভস্ট্যাক’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত কর্মশালার মূল লক্ষ্য হলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগসমূহের এ-সংক্রান্ত অর্জনসমূহ তুলে ধরা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বৈশ্বিক পর্যায়ে অগ্রগতি বিনিময় এবং গভস্ট্যাক-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নির্ধারণ করা।