ভয় কাটাতে ভ্রমণ
বিভিন্ন মানুষের নানা জিনিসে ভয় থাকে। কেউ তেলাপোকা ভয় পান, কেউ উচ্চতা, কেউ বা বিমানে চড়তে পারেন না। ভয় কাটাতে মনোবিজ্ঞানীরা নানা রকম পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সঙ্গে ওষুধপত্রও থাকে। তবে ভ্রমণের মাধ্যমেও ভয় কাটানো সম্ভব। সেটা কীভাবে?
হাঙরভীতি কাটাতে
সমুদ্রের সঙ্গে সখ্য যাঁদের, হাঙর তো তাঁদের চেনা। অনেকেই ভয়ে এর থেকে দূরে থাকেন। তবে হাঙরও কিন্তু মানুষের বন্ধু হতে পারে। ফিজির বেকা দ্বীপে গেলে হাঙরের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যাবে নিশ্চিতভাবেই। এখানে আট প্রজাতির হাঙরের সঙ্গে আপনি সাঁতার কাটতে পারবেন। বুল শার্ক, রিফ শার্ক, টাইগার শার্ক—সব ধরনের প্রজাতির হাঙর পাবেন এখানে। এরা আপনার কোনো ক্ষতি করবে না, নিশ্চিন্তে পানিতে নেমে যেতে পারবেন।
উচ্চতাভীতি কাটাতে
আট-দশতলা পেরিয়ে গেলেই বুক ধড়ফড় শুরু হয়। ওপর থেকে আর নিচে তাকাতে পারেন না? এই ভীতি কাটানো কোনো ব্যাপারই নয়। চলে যান চিলিতে। লাতিন আমেরিকার এই দেশে রয়েছে আজব এক সুযোগ, যা আপনার উচ্চতাভীতিকে উধাও করে দেবে। চিলিতে বেশ কয়েকটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। হেলিকপ্টারে উঠিয়ে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে পুকোন এলাকার কালডেরা আগ্নেয়গিরির কাছে। তার পর হেলিকপ্টার থেকে জাস্ট ফেলে দেওয়া হবে! তবে আপনার পা বাঁধা থাকবে হেলিকপ্টারের সঙ্গেই। তাই আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভা আপনাকে ছুঁতে পারবে না, কিন্তু জীবনের এক অন্য রকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে থাকবেন। এর পর ভয় বলে কিছু আর আপনাকে জ্বালাতন করবে না।
গতির ভয় কাটাতে
বাস বা গাড়ি একটু জোরে চললেই যাঁরা ঘামতে শুরু করেন, তাঁদের রয়েছে গতির ভয়। তাঁদের জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে। ওমানের রাজধানী মাসকট থেকে দুই ঘণ্টার পথ ওয়াহিবা মরুভূমি। ১০০ মিটার উচ্চতার বেশ কিছু ঢিবি রয়েছে মরুভূমিজুড়ে। এখানে গতি কমানোর কোনো প্রয়োজন নেই, সোজা চালিয়ে গেলেই হবে। নিজেই চালকের আসনে বসতে পারেন। গতি বাড়াতে পারবেন ইচ্ছামতো। কোনো কিছুতেই আর ভয় লাগবে না তখন।
ইঁদুরভীতি কাটাতে
টম অ্যান্ড জেরি কার্টুনের জেরিকে খুব পছন্দ করলেও বাস্তবে ইঁদুর দেখলে দৌড়ে পালান এমন মানুষের সংখ্যাটা কম নয়। ভারতের রাজস্থানে রয়েছে কার্নি মাতা মন্দির। এটাকে লোকে বলে ইঁদুরের মন্দির। মন্দিরটি দেখতে বেশ। এখানেই নিজেদের ঘরবাড়ি পেতে বসেছে ২০ হাজারের মতো ইঁদুর। ওখানে গেলেই এদের সঙ্গে দেখা মিলবে, আর দেখা হলেই ভয় কেটে যাবে!