ট্রাম্পের পাঁচ পোস্টে টুইটারের নিয়ন্ত্রণ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে নানা রকম অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে ভোট চুরি, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসেরও। তবে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় সেসব টুইটে একের পর এক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। দ্য বিজনেস ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ট্রাম্পের করা মোট পাঁচটি টুইট ঢেকে (কাভার) দেওয়া হয়েছে কিংবা কোনো কোনোটির ওপর নোটিফিকেশন ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
একটি টুইটে ট্রাম্প পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন এবং অভিযোগ করেছিলেন এ তিনটি অঙ্গরাজ্যে প্রচুর ভোট গোপনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। টুইটার বলছে, ট্রাম্পের এমন দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার মধ্যে নেভাদা, পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও আলাস্কার ভোটের ফলাফল এখনো মেলেনি। এগুলোতে এখনো ভোট গণনা চলছে। এর মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ২০টি, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৫টি, জর্জিয়ায় ১৬টি, আলাস্কায় তিনটি ও নেভাদায় ছয়টি মহামূল্যবান ইলেকটোরাল ভোট আছে।
এই পাঁচ অঙ্গরাজ্যের চারটিতেই ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও নেভাডায় এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রজেকশন অনুযায়ী, নেভাদায় ৭৫ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে, যার ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বাইডেন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। এখানে জয় পেলে আকাঙ্ক্ষিত ছয়টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটই হতে পারে বাইডেনের হোয়াইট হাউসে যাওয়ার চাবিকাঠি।
অন্যদিকে আবারও প্রেসিডেন্ট হতে হলে ট্রাম্পকে নেভাদাসহ পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের সব (৬০টি) ইলেকটোরাল ভোটই পেতে হবে।