পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানাচ্ছেন মিয়ানমারের জান্তাবিরোধীরা
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করায় আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্য ও কানাডার আরোপিত আর্থিক নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে প্রতিদিনই রাজপথে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সেনাশাসনবিরোধী আন্দোলন প্রতিবাদে নেতৃত্বদানকারী তরুণ থিনজার সুনলেই ইয়ি সেনাবাহিনীর তিন জেনারেলের ওপর যুক্তরাজ্যের আরোপিত সম্পদ জব্দ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রশংসা করেছেন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে চলমান সব দাতব্য কার্যক্রম বন্ধ ও ব্রিটিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। এদিকে, মিয়ানমারের নয় সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কানাডা।
টুইটারে থিনজার সুনলেই ইয়ি লিখেছেন, ‘আমরা অন্য দেশগুলোকেও এমন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ২২ ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার অপেক্ষায় থাকব।’
কূটনৈতিক চাপ রয়েছে জাপানের দিক থেকেও। জাপান বলেছে, মিয়ানমারে দ্রুত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তারাও যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একমত।
যুক্তরাজ্য ও কানাডার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে গত মঙ্গলবার সেনামুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রত্যাশিতই ছিল।
চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা মিয়ানমারের এসব জেনারেল আন্তর্জাতিক চাপ নিষেধাজ্ঞা তেমন একটা পাত্তা দেন না। পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় রাশিয়া ও চীন মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় অনেকটা নরম সুরেই কথা বলছে।
সেনাপ্রধান ও অভ্যুত্থানের নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এমনিতেই ২০১৭ সালে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের দমনের কারণে পশ্চিমা অনেক দেশের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয়। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেত্রী অং সান সু চি ও অন্য শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে সামরিক বাহিনী। এর প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।