ব্রাজিলে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ২২৮৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৭৯ হাজার
ব্রাজিলে একদিনে দুই হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বেড়েছে সংক্রমণের মাত্রাও। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং সংক্রমণে তৃতীয় সর্বোচ্চ দেশটিতে এই প্রথম একদিনে মৃত্যু দুই হাজার ছাড়াল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
ব্রাজিলে করোনা সংশ্লিষ্ট অসুস্থতায় বুধবার দুই হাজার ২৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন ৭৯ হাজার ৮৭৬ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। একই দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
উত্তর আমেরিকার দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৩৭০ জন। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ১৯১ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
ব্রাজিলের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদের দেশে অতি মাত্রায় সংক্রমণযোগ্য নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার পি১ নামক একটি ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে। আমাজনঘেষা মানাউস শহরে প্রথম ধরা পড়ে এটি।
বুধবার দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জয়ের বলসোনারোর নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোকে ‘স্টুপিড সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। মাস খানেকের মধ্যে গতকাল বুধবারই বলসোনারোকে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা গেছে।
করোনার সংক্রমণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে, ব্রাজিলের স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়ার একেবারে দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে বলে এরই মধ্যে সতর্ক করেছে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ফিয়োক্রুজ।
ফিয়োক্রুজের একজন গবেষক ও চিকিৎস মার্গারেট ডালকলমো বলেছেন, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বর্তমানে দেশ সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ২০২১ সাল খুবই কঠিন বছর হয়ে যাচ্ছে আমাদের জন্য।
রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় আর কোনো আইসিইউ শয্যা খালি নেই। সাও পাওলো ও রিও ডি জেনেরিওসহ ১৫টি অঙ্গরাজ্যের ৯০ শতাংশ আইসিইউ শয্যায় করোনায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এ ছাড়া পোর্ট অ্যালেগ্রে ও ক্যাম্পো গ্রান্দে অঙ্গরাজ্যে আইসিইউ শয্যার চেয়ে গুরুতর রোগীর সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে।
ব্রাজিলে গতকাল বুধবার পর্যন্ত এক কোটি ১২ লাখ পাঁচ হাজার ৯৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান সাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে।