ব্রাজিলে করোনায় মৃত্যু পাঁচ লাখ, সামনে আরও ‘সংকটজনক’ পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারিতে ব্রাজিলে প্রাণহানি পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধীর গতিতে টিকা দেওয়ার কারণে শীতের শুরুতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। খবর বিবিসির।
বর্তমানে করোনায় মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে ব্রাজিলের অবস্থান দ্বিতীয়। এর আগেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার সকালে পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার জানায়, করোনায় ব্রাজিলে মোট প্রাণহানি পাঁচ লাখ ৮৬৮।
দেশটির মহামারি পরিস্থিতির জন্য শুরু থকে সমালোচিত হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। বরাবরই সামাজিক দূরত্বের মতো করোনা বিধির বিপক্ষে অবস্থান তাঁর।
স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ফিওক্রুজের মতে, ব্রাজিলের অবস্থা ‘সংকটজনক’। দেশটিতে মাত্র ১৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পুরোপুরি টিকা নিয়েছে।
জাতীয়ভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ প্রতিক্রিয়া না দেখানো ছাড়াও টিকা, লকডাউন ও মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা নিয়ে বরাবরই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বলসোনারো। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই প্রেসিডেন্ট টিকা কিনতে দেরি করেছেন।
কোভিডের দ্রুত ছড়ানো ধরনগুলোর একটি পাওয়া গেছে ব্রাজিলে। আমাজন অঞ্চলে প্রথম ধরা পড়া ভ্যারিয়েন্টটি এখন ‘গামা’ নামে পরিচিতি।
দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর ৮০ ভাগ বেডই করোনা রোগীদের দখলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক মেলামেশার কারণে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সামনে সপ্তাহে শীতের প্রভাব শুরু হতেই সংক্রমণ আরও খারাপ দিকে যেতে পারে।
এ দিকে এক টুইট বার্তায় ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্সেলো কুইরোগা স্বজন হারানোদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে একাত্ম প্রকাশ করেন।
সরকারি পরিসংখ্যান মতে, ২১ কোটি জনসংখ্যার দেশ ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ৭৯ লাখের কাছাকাছি।