মার্কিন নির্বাচন : বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভোটের ফল কেন আলাদা?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে বিশ্বব্যাপী পাঠকদের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এরই মধ্যে নির্বাচনের ভোট-পরবর্তী সময়ে যে প্রশ্নটি উঁকি দিচ্ছে তা হলো—বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনার পর ফলাফল নিয়ে কেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তারতম্য রয়েছে?
কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম আগেই অঙ্গরাজ্যগুলোর ফলাফল প্রকাশ করে বিজয়ী প্রার্থীর নামের পাশে ইলেকটোরাল ভোট যুক্ত করছে। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম আবার একটু সময় নিয়েই ইলেকটোরাল ভোট যুক্ত করছে।
যেমন আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিবিসির প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়, বাইডেন এখন পর্যন্ত পেয়েছেন মোট ২৪৩ ইলেকটোরাল ভোট আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪ ইলেকটোরাল ভোট। এবং সিএনএনের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়, বাইডেনের ঝুলিতে রয়েছে ২৫৩ ইলেকটোরাল ভোট এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট।
এ ছাড়া ফক্স নিউজ ও দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে দেখা যায় ভিন্ন ফলাফল। এ দুই সংবাদমাধ্যম বলছে, বাইডেন পেয়েছেন ২৬৪টি ইলেকটোরাল ভোট। অন্যদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট।
বিভিন্ন সাইটে ভোটের ফলাফলের এমন তারতম্য কেন হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি বলছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ভোটের ফলাফলের টালি দেখলে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন। এর মধ্যে অ্যারিজোনা ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে পুরোপুরি ভোট গণনার আগেই অনেক সাইট ওই অঙ্গরাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল ভোট বাইডেনের ঝুলিতে যুক্ত করেছে। এর মধ্যে অ্যারিজোনায় এখন পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। সেখানে বাইডেন ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ ভোট। এ ছাড়া উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে।
তবে কেন পুরোপুরি ভোট গণনার আগেই তারা ফলাফল জানিয়ে দিচ্ছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অনেকেই ধারণা করছেন, অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোট পুরোপুরি গণনা করা না হলেও আগেভাবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে, কে জয়ী হবেন। এ জন্যও কেউ কেউ ফলাফল প্রকাশ করতে পারে।
বিবিসি জানিয়েছে, তারা ভোট সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এডিসন রিসার্চ থেকে ভোটের ফলাফল সংগ্রহ করছে। তড়িঘড়ি করে কোনো অঙ্গরাজ্যের ফলাফল প্রকাশ করতে চায় না সংবাদমাধ্যমটি। এ ক্ষেত্রে পাঠকদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে তারা।