মিয়ানমারে প্রতিবাদকারীদের ২০ বছরের কারাদণ্ডের হুমকি জান্তার
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সারা দেশের অভ্যুত্থানবিরোধী প্রতিবাদকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সশস্ত্র বাহিনীকে বাধা দিলে তাদের ২০ বছর পর্যন্ত কারদণ্ড হতে পারে।
সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের প্রতি কেউ মৌখিক বা লিখিত বাক্যের মাধ্যমে বা কোনো সাইন বা দৃশ্যমান কিছু উপস্থাপণের মাধ্যমে ‘ঘৃণা বা অবজ্ঞা’ উস্কে দিলে তাকেও দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা গুনতে হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। খবর বিবিসির।
১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের দুই সপ্তাহ পর মিয়ানমারের কয়েকটি শহরে সাঁজোয়া যান নামানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইন সংস্কারের এ ঘোষণা এসেছে।
এদিকে মিয়ানমারে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা ও দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় সেনা মোতায়েনের পরও নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪ এ খবর জানিয়েছে।
মিয়ানমারের নির্বাচিত স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ দেশটির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের আটকের দুসপ্তাহ পরও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। ইয়াঙ্গুনের উত্তরাঞ্চলে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে অধ্যয়নরত শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে আজ সোমবার এ বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ আটক সব নির্বাচিত নেতার মুক্তি দাবি করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে।
মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তায় সামরিক বাহিনীর অস্ত্রসজ্জিত গাড়িবহর টহল দিতে দেখা গেছে। দেশটিতে রোববার দিবাগত রাত ১টা থেকে প্রায় সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের দমন অভিযানের প্রস্তুতির আভাস হিসেবে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
টানা ৯ দিনের মতো দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভে উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে গতকাল রোববার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে গুলি ছুড়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে সেগুলো রাবার বুলেট নাকি তাজা গুলি, তা জানা যায়নি। এদিন কাচিনের মিতকায়িনা শহর থেকে পাঁচ সাংবাদিকসহ বহু মানুষকে আটক করা হয়।