যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধস, কানাডার অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা
ঝড় পরবর্তী কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে নাকাল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গা যদিও শুকিয়ে আসছে, অনেক জায়গায় পানি এখনও বাড়ছে। গত রোববার রাতে শুরু হওয়া ব্যাপক ঝড়ের পর সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় পার্শ্ববর্তী কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অঙ্গরাজ্যে গতকাল বুধবার জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। বিবিসি ও এনবিসিনিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার বহু মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে চলে যেতে বলা হয়েছে। জরুরি বিভাগের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনতে এবং সড়কগুলো সচল করতে কাজ করছেন।
ওয়াশিংটনের কানাডা সীমান্তবর্তী সুমাস শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার শহরটির একজন কর্মকর্তা ফেসবুকে লেখেন, ‘শত শত মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৭৫ শতাংশ ঘরবাড়িতে পানি উঠে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
১৯৯০ সালের নভেম্বরে ওয়াশিংটনের পশ্চিমাঞ্চলে হওয়া ব্যাপক বন্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এবারের পরিস্থিতি। নব্বইয়ের সে বন্যায় দুজন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং দুই সহস্রাধিক মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছিল।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অঙ্গরাজ্যের উত্তর-পূর্ব ভ্যাঙ্কুভারে ভূমিধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে কানাডা পুলিশ।
কানাডায় উদ্ধারকাজে এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
এদিকে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের সুমাস নদীর পানির স্তর দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এমন অবস্থা হয় যে, উদ্ধারকর্মীরা কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার অ্যাবটসফোর্ডের উদ্ধারকর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছিল।
অ্যাবটসফোর্ডের মেয়র হেনরি ব্রন বলেন, ‘মহাসড়কগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজটা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের শহরে যা চলছে তা দেখে আমার হৃদয়টা ভেঙে যাচ্ছে।’