সু চিকে আটকের পর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে আজ সোমবার ভোরের দিকে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট এবং এনএলডির কয়েকজন শীর্ষ নেতা দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন। এরই মধ্যে দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, তারা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।
অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ আরো কয়েকজন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে আজ সোমবার ভোররাতে ধরে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। স্টেট কাউন্সিলরের পদে থাকা সু চি মূলত মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতেন এবং এতদিন দেশটির সর্বোচ্চ নেতার পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সম্পর্কে টানাপোড়েনের জের ধরে তাকে গ্রেফতার করা হলো।
গত নভেম্বরে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে সরকার গঠনের মতো পর্যাপ্ত আসন পায় এনএলডি। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে। নির্বাচনের পর আজ সোমবার পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল।
একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো এবং সাবেক রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।
এনএলডির মুখপাত্র মিও নিয়ান্ট টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দলের নেত্রী সুচি, প্রেসিডেন্ট উইট মিন্ট এবং অন্য নেতাদের আজ সোমবার ভোররাতে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি মিয়ানমারের জনগণকে এ ব্যাপারে তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আইন মেনে চলার আহ্বান জানান।
এর আগে মিয়ানমারে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক শাসক ক্ষমতায় ছিল এবং তখন পর্যন্ত বহু বছর সু চি গৃহবন্দি ছিলেন।