২৭ ঘণ্টার সেশন শেষে সিনেটে বাইডেনের কোভিড বিল পাস
নভেল করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের ‘করোনা তহবিল’ বিলটি দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ভোটাভুটিতে পাস হয়েছে। পর্বতসম এই বিলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে বলে আশাপ্রকাশ করছেন বাইডেন।
নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে আগামী মঙ্গলবার বিলটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাউসে করোনা রিলিফ বিলটি পাস হয়।
টানা ২৭ ঘণ্টার দীর্ঘ সেশন শেষে শনিবার সিনেটে ৫০-৪৯ ভোটে বিলটি পাস হয়। শুক্রবার ডেমোক্র্যাট সিনেটর জো মানচিন বেঁকে বসেন। বিশালাকার বিলটি অর্থনীতিতে আঘাত হানতে পারে বলে মত দেন তিনি। পরে ১১ ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয় এবং শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় পৌঁছান মানচিন।
এই বিল পাসের ফলে বার্ষিক আয় ৭৫ হাজার ডলারের কম (স্বামী-স্ত্রীর দেড় লাখ ডলার) আয়ের মার্কিন নাগরিকেরা মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাবেন। আর বেকাররা সপ্তাহে ৪০০ ডলার করে ফেডারেল ভাতা পাবেন আগস্ট পর্যন্ত।
এই বিলের ফলে কমপক্ষে ১০ লাখ বাংলাদেশি আমেরিকানসহ সাড়ে আট কোটি মার্কিন নাগরিক উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এ মাসের শেষ নাগাদ আমেরিকানদের হাতে তাদের প্রাপ্য অর্থ তুলে দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সিনেটে পাস হওয়ার বিষয়টিকে মহৎ উদ্যোগ আখ্যা দিয়ে বাইডেন বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই সহজ ছিল না। কিন্তু ব্যাপকভাবে দরকার ছিল, জরুরিভিত্তিতে দরকার ছিল।’
ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার এই বিলকে ‘গত কয়েক দশকের মধ্যে ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে আমেরিকানদের জন্য সবচেয়ে বড় সহযোগিতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
অন্যদিকে রিপাবলিকান লিডার মিচ ম্যাককনেল প্যাকেজটির সমালোচনা করে বলেন, ‘সিনেট এর আগে কখনোই এতটা এলোমেলোভাবে ও কম যাচাই-বাছাই করে দুই ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেনি।’