রোহিঙ্গা নির্মূল করতেই গণহত্যা চালায় সেনাবাহিনী : জাতিসংঘ
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণহত্যা ও গণধর্ষণ চালিয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে।
শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতিগতভাবে নির্মূল করতে গত অক্টোবর থেকে রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের গ্রামে আগুন দিয়ে বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ গণহত্যা ও গণধর্ষণ চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া পালিয়ে যাওয়ার সময় রোহিঙ্গাদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানো হয়েছে, গ্রামে ঢুকে বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন করেছে সেনাবাহিনী বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের তদন্ত দলকে এক নারী বলেছেন, কীভাবে তাঁর আট মাস বয়সী ছেলের গলা কেটে ফেলা হয়েছে। তিনি এক সেনার কাছে রোহিঙ্গা নারীকে ধর্ষণের শিকার হতে দেখেছেন। আর ওই নারীর পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে তাকে থামাতে গেলে ওই সেনা সদস্য মেয়েটিকে মেরে ফেলে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জায়েদ রাদ আল হুসেইন এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতা শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্য থেকে প্রায় ৬৬ হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বর্তমানে সেই সংখ্যা ৬৯ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে।