ডব্লিউইএফের প্রতিযোগিতা সক্ষমতার সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে (জিসিআই) বাংলাদেশ সাত ধাপ এগিয়ে ৯৯তম অবস্থানে স্থান পেয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বের ১৩৭টি দেশ নিয়ে করা এই সূচক প্রকাশ করা হয়।
ওই সূচকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতার তালিকায় গতবারের মতো এবারও প্রথম স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। দেশটির মাথাপিছু বার্ষিক আয় ৭৯ হাজার ২৮২ মার্কিন ডলার, জিডিপি ৬৫৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। এর পরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিদের মাথাপিছু আয় ৫৭ হাজার ৪৩৬ ডলার ও জিডিপি ১৮ হাজার ৫৬৯ বিলিয়ন ডলার। তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পর রয়েছে সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির নাম।
সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গত অর্থবছরের তুলনায় সাত ধাপ এগিয়েছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৬।
ডব্লিউইএফের তথ্য অনুযায়ী, সূচকে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৪১১ ডলার ও জিডিপি ২২৭ দশমিক নয় বিলিয়ন ডলার দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে সেখানে দেখানো হয়েছে দুর্নীতি, রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত অপ্রতুলতা, শিক্ষিতকর্মীদের অভাব, শ্রমিকদের মধ্যে নৈতিকতার অভাব, কর ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মতো বিষয়গুলোকে।
ডব্লিউইএফের সূচকে ভারত এক ধাপ পিছিয়ে ৪০তম অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে সাত ধাপ এগিয়ে ১১৫তম অবস্থানে এসেছে পাকিস্তান। ভারত ও পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় যথাক্রমে-এক হাজার ৭২৩ ও এক হাজার ৪৬৮ মার্কিন ডলার।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতার তালিকায় রাশিয়া ৩৮তম, যুক্তরাজ্য অষ্টম, চীন ২৭তম ও সৌদি আরব ৩০তম অবস্থানে আছে। তবে সূচকের ১৩৭টি দেশের মধ্যে মিয়ানমারের নাম নেই।
১২টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক তৈরি করে ডব্লিউইএফ। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, সামষ্টিক অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, বাজারের দক্ষতা, শ্রমবাজারের দক্ষতা, অর্থনৈতিক উন্নতি, প্রযুক্তি, বাজারের আকার, ব্যবসায় উন্নতি ও উদ্ভাবন।