পাকিস্তানে যুবকের ‘বিতর্কিত’ ফাঁসি কার্যকর
বারবার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের আহ্বান সত্ত্বেও শিশু হত্যার অভিযোগে শাফকাত হোসেন নামের এক যুবকের ফাঁসি কার্যকর করেছে পাকিস্তান সরকার।
শাফকাতের আইনজীবী জানিয়েছেন, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর এবং তাঁকে নির্যাতন করে তাঁর কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সময় তিনি যে শিশু ছিলেন, এর কোনো প্রমাণ নেই। শাফকাতের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে এক শিশুকে হত্যার প্রমাণ পান আদালত।
আজ মঙ্গলবার সূর্য ওঠার আগে করাচির একটি কারাগারে শাফকাতের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এর আগে পরিবারের লোকজন শেষবারের মতো তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসে। চলতি বছর চারবার তাঁর দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।
তবে স্থগিত আবেদন, আইনি উদ্যোগ, তদবির সবকিছুই প্রত্যাখ্যান করা হয়। গত বছর ডিসেম্বরে দেশটির পেশোয়ারে স্কুলে হামলা চালিয়ে ১৫০ জনের বেশি ছাত্র-শিক্ষক হত্যার ঘটনার পর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখার বিধান বাতিল করে পাকিস্তানের সরকার। এর পর থেকে দেশের কারাগারগুলোতে অন্তত ১৯৩ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা রিপ্রিভ জানিয়েছে, পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থা প্রতি পদক্ষেপে শাফকাতকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই মামলা নিয়ে যথাযথ তদন্ত হয়নি। সংস্থাটি জানায়, পাকিস্তানসহ সারা বিশ্বে ফাঁসি স্থগিত করার দাবি উঠলেও সরকার তা শোনেনি। ন্যায়বিচারের চেয়ে সরকারের কাছে এটা রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শনের মতো ছিল।
তবে পাকিস্তান সরকার মনে করে, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সময় শাফকাতের বয়স ছিল ২৩ বছর।