ইসলামি স্কলার তারেক রমজানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষক তারেক রমজানের বিরুদ্ধে (৫৫) দুজন নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। ফ্রান্সের একটি আদালত অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহে প্যারিসে জিজ্ঞাসাবাদের পর বর্তমানে তারেক রমজান পুলিশের হেফাজতে আছেন। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং এ জন্য অভিযোগকারীদের একজনকে দোষারোপ করেন।
তারেকের বিরূদ্ধে প্রথম অভিযোগকারী হেন্ডা আয়ারি ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি বইয়ে অভিযোগ করেন, চার বছর আগে প্যারিসের একটি হোটেলে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তবে তিনি ধর্ষকের নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু গত বছরের অক্টোবরে তিনি স্পষ্টভাবে তারেক রমজানের বিরূদ্ধে অভিযোগ করেন।
এর কিছুদিন পর ইসলামে ধর্মান্তরিত এক নারী রমজানের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
চারজন সুইস নারীও তারেকের বিরূদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। তবে তিনি এসব অভিযোগ শত্রুদের কাজ বলে দাবি করেন।
মুসলিম পণ্ডিতদের মধ্যে একজন বিতর্কিত ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব তারেক রমজান মিসরীয় ইমাম হাসান আল-বান্নার নাতি, যিনি ১৯২০ সালে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
রমজান ফ্রান্স ও ব্রিটেনের গণমাধ্যমে বেশ পরিচিত এবং ইউরোপের তরুণ মুসলমানদের জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি।