মামলা ফখরুদ্দীনের, সাজা আদালতের, আমরা কী করব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা দিয়েছে সেনাবাহিনী সমর্থিত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আদালত সেই রায়ে তাঁকে সাজা দিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের কিছু নেই।
রোববার কানাডার টরন্টোতে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। গত শনিবার তিনি সেখানে বক্তব্য দেন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমারের প্রতি চাপ প্রয়োগে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জি-৭ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় কুইবেকের লা শ্যাতো ফ্রন্টেন্যাক হোটেলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি টরন্টোতে নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইমার্জেন্সিতে কারা এসেছে? খালেদা জিয়ার পছন্দের ইয়াজউদ্দিন রাষ্ট্রপতি, নয়জন জেনারেলকে ডিঙিয়ে জেনারেল মঈনকে খালেদা জিয়া সেনাপ্রধান বানালেন। আর বিশ্বব্যাংকে চাকরি করতেন ফখরুদ্দীন সাহেব, তাঁকে নিয়ে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বানিয়েছিল ওই বিএনপি। তাদেরই পছন্দের ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দীন, মঈনউদ্দীন। তাঁরাই দিল মামলা, আমাদের দোষটা কী?’
‘এই মামলা ১০টা বছর চলল। এই ১০ বছরে বিএনপির আইনজীবীরা, কেউ কেউ তো ইংরেজি ছাড়া বাংলায় কথাই বলে না। তো তারা করলটা কী? এটুকু প্রমাণ করতে পারলেন না যে তাদের নেত্রী এতিমের টাকা মেরে খান নাই। এটা তারা প্রমাণ করতে পারল না। আদালতে রায় হয়েছে। রায় অনুযায়ী তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে আমাদের সরকারের কী করার আছে?’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘শুধু তাই না, একজন আসামি, সাজাপ্রাপ্ত, তাঁর জন্য আবার গৃহকর্মী দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামির জন্য গৃহকর্মী দেওয়া হয়, এটা কি আপনারা কোথায় শুনেছেন বলেন?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটাও তো একদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন। একটা মানুষ কোনো অন্যায় করল না, অপরাধ করল না, কিন্তু তাঁকে জেল খাটতে হচ্ছে। মনিবের কথায়। সে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করল মনিবের কথায়।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।