পাকিস্তানে সরকারি কাজে ইংরেজির বদলে উর্দু
পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে সরকারি কাজে ইংরেজি ব্যবহার হয়ে আসছে। সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সরকারি কাজের ভাষা হিসেবে ইংরেজির পরিবর্তে উর্দু ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে।এরই ধারবাহিকতায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফও এ নির্দেশ দিয়েছেন।
একটি নতুন জাতীয় মূল্যবোধ জোরদারে এই পরিবর্তন একটি বড় পদক্ষেপ যার জন্য গত ১৫ বছর ধরে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অনেকেই এই পরিবর্তনের বিরোধীতা করলেও পাকিস্তানের কট্টর জাতীয়তবাদীরা এর প্রশংসা করেছেন।
ইসলামাবাদের উর্দু ভাষার স্কুলশিক্ষক হালিম আসঘর গালফ নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন,‘৬৮ বছর আগে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্ম এবং আমরা এখনো আমাদের ভাষার পরিচয় পাইনি। আমরা আর ঔপনিবেশিকের জিম্মি হয়ে থাকতে পারি না।’
অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়ায় এটিকে একটি অর্থহীন কাজ বলে অভিহিত করেছেন। বিশিষ্ট রাজনৈতিক ভাষ্যকার অধ্যাপক হাসান রিজভি সতর্ক করে দিয়ে বলেন,‘যেখানে ব্যয়বহুল বেসরকারি স্কুলগুলোতে অভিজাত শ্রেণির সন্তানদের ইংরেজিতে শিক্ষা দেওয়া হবে সেখানে সরকার পরিচালিত স্কুলগুলোতে শুধুমাত্র উর্দুতে শিক্ষা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে ধনী ও গরীবের মধ্যে ব্যবধান বেড়ে যাবে।’
পেশাদার ডিগ্রি কোর্স যেমন মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি পরীক্ষার জন্য বই প্রকাশ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। রিজভি বলেন,‘আমরা কি নিশ্চিত করতে পারবো যে মেডিকেল অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজির মতো উর্দু ভাষার বইও সহজলভ্য হবে?’