হংকংয়ে মুখোশে নিষেধাজ্ঞা, মুখোশ পরেই প্রতিবাদ
হংকংয়ে মুখোশ পরিধানে নিষেধাজ্ঞার এক দিনের মধ্যেই এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে হাজারো মানুষ। এ আন্দোলনকে আরো বেগবান করার জন্য সবাইকে মুখোশ পরেই যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে গতকাল শুক্রবার যেকোনো ধরনের মুখোশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারি লাম।
এক সংবাদ সম্মেলনে কেবিনেটের ১৬ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ক্যারি লাম জানান, মুখোশের নিষেধাজ্ঞা বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা বন্ধের ক্ষেত্রে একটি ভিন্ন প্রভাব ফেলবে এবং পুলিশকে আইন প্রয়োগে সহায়তা করবে।
এক পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে ১৪ বছর বয়সী কিশোর আহত হওয়ার পর যখন বিক্ষোভ আরো বেগবান হয়, তারপরই এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় হংকং প্রশাসন।
ওই কিশোরের পায়ে গুলি লাগার পর তাকে টুয়েন মুন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত পুলিশের এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিক্ষোভকারীদের হামলার শিকারের পর জীবন রক্ষার জন্য এক কর্মকর্তা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে এই গুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, এ ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর মুখোশে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো হংকং ঔপনিবেশিক যুগের জরুরি ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে ক্যারি লাম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, হংকং জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছে।’
ক্যারি লাম আরো বলেন, ‘সহিংসতা হংকংকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের অবশ্যই বর্তমান ও ভবিষ্যতের হংকংকে রক্ষা করতে হবে।’
এ নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের এক বছরের কারাভোগ অথবা ২৫ হাজার স্থানীয় মুদ্রা জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কেউ যদি শারীরিক অসুস্থতা, ধর্মীয় বিষয় অথবা অন্য কারণে মুখ ঢেকে রাখেন, তাহলে তাঁকে কারণ দর্শাতে হবে বলেও জানানো হয়।