যেকোনো সময় ভিসুভিয়াসে অগ্ন্যুৎপাত, ঝুঁকিতে লাখ লাখ মানুষ
ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরিতে খুব শিগগিরই ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে। এ কারণে ইতালির নেপলস শহরের লাখ লাখ মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কর্মকর্তারা সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি এই অগ্ন্যুৎপাত বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের কারণ হতে পারে বলেও জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারের খবরে বলা হয়েছে, ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতে ইতালির প্রাচীন নগরী পম্পেই ধ্বংস হয়ে যায়। নতুন এই অগ্ন্যুৎপাতে নেপলস শহরে বসবাসকারী ৩০ লাখ মানুষের অর্ধেকই বিপজ্জনক এলাকায় রয়েছেন। অগ্ন্যুৎপাতে ছাই ও পাথরে ঢেকে যেতে পারে পুরো এলাকা।
নেপলস শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৬৩টি শহর ও গ্রামের ১৫ লাখ মানুষের মধ্যে ছয় লাখ মানুষ লাল চিহ্নিত বিপজ্জনক এলাকায় বসবাস করছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে ২১ লাখ মানুষ।
এই লাল চিহ্নিত এলাকা আগ্নেয়গিরি ২০০ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। এই এলাকায় বসবাসকারীরা ভয়াবহ পাথর উদগিরের অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়তে পারে।
বিপজ্জনক ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি বুদ্বুদ সৃষ্টিকারী ম্যাগমার কমপক্ষে ১৫৪ বর্গমাইল উপরে অবস্থিত। একটি বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতে এত পরিমাণ ছাই বায়ুমণ্ডলে মিশতে পারে যার কারণে কয়েক মাস সূর্যের আলোর দেখা পাবে না ওই এলাকার মানুষ।
জাপানের বিজ্ঞানী নাকাদা সেতসুয়া ২০১২ সালে বলেছিলেন, ইতালিকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবশ্যই আলোচনা করতে হবে এবং পরিকল্পনা গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে।
পম্পেই ধ্বংসের পর ভিসুভিয়াসে ছোট ছোট ৩০টি অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। ১৯৪৪ সালে শেষবারের মতো অগ্ন্যুৎপাতে ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
এই বিপজ্জনক এলাকা আরো সম্প্রসারিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন নেপলস শহরের কাউন্সিলের মুখপাত্র ডোমেনিকো আনুনজিয়াতা। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একটি বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাত হতে যাচ্ছে। এতে উদগিরণ হওয়া ছাই বহুদূর এলাকা পর্যন্ত ছেয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ এই ছাই তেমন ক্ষতিকর হবে না।’