ওঁলাদ-মেরকেলের নতুন শান্তি প্রস্তাব
ইউক্রেন সংকট সমাধানে নতুন প্রস্তাব নিয়ে দেশটির রাজধানী কিয়েভ সফরে গেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের দুজনের দেশটির রাষ্ট্রপতি পেট্রো পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ শান্তির জন্য তাঁদের এই যৌথ সফরের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি আরো জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন সফরের পর দুই নেতা একই শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আগামীকাল শুক্রবার রাশিয়া যাবেন।
গতকাল রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দমনে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণার পর পরই আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি কিয়েভে পৌঁছেছেন। তীব্র তুষারপাতের মধ্যে তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পোরোশেঙ্কো স্বয়ং।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যমতে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সাহায্যের ব্যাপারে আলোচনা করতেই কেরির এই সফর। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এক কোটি ৬০ লাখ ডলারের যে অর্থসহায়তা যুক্তরাষ্ট্র দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এবারের সফরে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণাও দেবেন কেরি। গত বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কো বলেছিলেন, নয় মাসব্যাপী চলমান যুদ্ধে কিয়েভকে সাহায্য করার জন্য ওয়াশিংটন নিশ্চয়ই অস্ত্র পাঠাবে।
পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্কসহ আরো কয়েকটি শহরকে স্বাধীন ঘোষণা করে তার দখল নিতে সশস্ত্র লড়াই করছে বিদ্রোহীরা। কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের অভিযোগ, এই যুদ্ধে বিদ্রোহীদের অর্থ ও অস্ত্রসহায়তা দিচ্ছে মস্কো সরকার। যদিও এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মস্কো। ইউক্রেনে গত বছর এপ্রিলে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত ও ১১ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন।