ঘুমাতে পারছেন না সালাহ উদ্দিন, সিঙ্গাপুর যেতে চান
অসুস্থতার কারণে এখনো আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারায় ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের মুক্তির প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হবে। খারাপ শারীরিক অবস্থার কারণে এখন পর্যন্ত তাঁকে আদালতে তোলা যায়নি।
আজ এবং আগামীকাল সাপ্তাহিক ছুটি, তাই আগামী সপ্তাহের আগে সালাহ উদ্দিনকে আদালতে তোলা যাচ্ছে না। মেঘালয়ের পুলিশ এরই মধ্যে অসুস্থতার কারণে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে হাজির করতে না পারার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেছে।
আজ শনিবার মেঘালয় রাজ্য থেকে প্রকাশিত শিলং টাইমস পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। ‘অসুস্থতার কারণে সালাহ উদ্দিনের মুক্তিতে বিলম্ব’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
গত ১১ মে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১২ মে থেকে শিলং সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয়বারের মতো শিলং সিভিল হাসপাতালে সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, কিডনি সমস্যা ও হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য সালাহ উদ্দিন আহমেদকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া দরকার। তিনি সব সময়ই তাঁর চিকিৎসা সিঙ্গাপুরেই করেছেন। এ ছাড়া এখন তাঁর যে ধরনের চিকিৎসা দরকার, তা শিলং সিভিল হাসপাতালে পাওয়া সম্ভব নয়।
জনি বলেন, ‘তাঁকে (সালাহ উদ্দিন) খুব দুর্বল দেখাচ্ছিল। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না।’
পুলিশের কয়েকটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় সালাহ উদ্দিন নিজেই সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বিএনপির নেতা জনি আরো জানান, তিনি এবং সালাহ উদ্দিন আহমেদের পরিবার ভারতের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবেন। এ ছাড়া মামলাটি আদালতে পরিচালনা করতে স্থানীয় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করছেন।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা শেষ করে কবে নাগাদ ভারতে পৌঁছবেন এবং কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তার ওপরই এখন নির্ভর করছে সবকিছু। তাঁকে ভারতের বাইরে চিকিৎসার জন্য নিতে হলে এ ব্যাপারে আদালতে আবেদন করতে হবে। তার পর সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের বাইরে নেওয়া যাবে কি না, সে নির্দেশ দেবেন আদালত।
তবে ফরেনার্স অ্যাক্ট লঙ্ঘন করে ভারতে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া প্রবেশ করায় সালাহ উদ্দিন আহমেদের মুক্তি এত সহজে হচ্ছে না বলে জানিয়েছে শিলং টাইমস। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদালত প্রথমে তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠিয়ে দিতে পারেন। এর মানে হলো, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফরেনার্স অ্যাক্ট লঙ্ঘন করায় নির্ধারিত কারাদণ্ড। এই সাজা তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে।