জর্জিয়ার নির্বাচনে হস্তক্ষেপে অভিযুক্ত ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ নতুন নয়। ফের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনের ফল পাল্টানোর চেষ্টায় অভিযুক্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বাদেও আরও ১৮ জনও একই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে জর্জিয়ায় হেরে যান ট্রাম্প। তবে, ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা করেন এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। সম্প্রতি কয়েক মাসের মধ্যে চতুর্থবারের মতো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলেন ট্রাম্প। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী ট্রাম্প ছাড়াও আরও ১৮ জনকে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, নিজের বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে সবই ভুয়া। অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশে প্রণোদিত।’
জর্জিয়ার প্রসিকিউটর ফানি উইলিস ট্রাম্প এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম তদন্ত শুরু করেছিলেন।
সোমবার ৯৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে প্রসিকিউটররা ১৯ আসামির বিরুদ্ধে ৪১টি অভিযোগ তালিকাভুক্ত করেছেন।
আসামিদের আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফানি উইলিস। পাশাপাশি ১৯ অভিযুক্তকে একইসঙ্গে বিচারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এই প্রসিকিউটর।
ট্রাম্প বাদেও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে, ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী রুডি জিউলিয়ানি, হোয়াইট হাউজের সাবেক চিফ অব স্টাফ মার্ক মেয়াডোস এবং হোয়াইট হাউজের সাবেক আইনজীবী জন ইস্তেমান। এ ছাড়া আরও রয়েছেন, বিচারক ডিপার্টমেন্টের সাবেক কর্মকর্তা জেফরি ক্লার্ক, সিডনি পাওয়েল ও জেনা ইলিস এবং ট্রাম্পের সাবেক দুই আইনজীবীও অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা জানেন এবং তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল বেআইনিভাবে পরিবর্তন করার ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া অভিযোগে আসামিদের একটি ‘অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি সাক্ষীদের প্রভাবিত করা, কম্পিউটারে অনুপ্রবেশ, চুরি ও মিথ্যাচারসহ অন্যান্য অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ফানি উইলিস বলেন, ‘ট্রাম্পসহ আসামিদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারসাজি, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।’