২২ শ্রাবণ
আজো রবীন্দ্রনাথ
শত বৎসরে শত ফুল হয়ে ফুটলো শত কবির শব্দসম্ভার; নাট্যমুহূর্ত সৃজিত হলো বহু নাট্যকারের সৃষ্টিশীলতায়; কত না জীবনশিল্পী এসে জীবনজগতের ওপর ফেললেন বহুকৌণিক আলো; ঝরনার মতো বয়ে গেল গীতসুধাধারা; আর চিন্তা ও দর্শনের নবনব সূত্র উন্মোচন করলেন সংখ্যাহীন প্রাজ্ঞ মননশীলেরা। তবু আজো রবীন্দ্রনাথ পরম বাতিঘর হয়ে, অশেষ মহীরূহ হয়ে বিরাজ করছেন। আজো রবীন্দ্রনাথ বাঙালি জীবনে প্রতিটি সকালের রবিকিরণ, অশেষ প্রেরণা, আশ্চর্যরকম ভাবে প্রাসঙ্গিক। সাহিত্য যে ভাষাতেই লিখিত হোক না কেন তার থাকে কিছু চিরায়ত স্রষ্টা, যাঁরা হোন অবশ্যপাঠ্য। যেমন জার্মান সাহিত্যে গ্যেটে, ইংরেজিতে শেক্সপীয়র, রুশ সাহিত্যে টলস্টয়।
বাংলায় তেমনি রবীন্দ্রনাথ বলেই যে তিনি তাঁর প্রস্থানের এতটাকাল পেরিয়েও বাঙালির সবচেয়ে বড় সাহিত্য-আইকন, বিষয়টি নিশ্চয়ই তেমন নয়। সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের বহুমাত্রিকতা বহুরূপ-রসসন্ধানী বাঙালিকে আকর্ষণ করেছে বহু বিচারেই। বাঙালির গৌরবের প্রতীক হয়ে উঠেছেন রবীন্দ্রনাথ, তাঁকে পাশে সরিয়ে রেখে শিক্ষিত বাঙালির একটি ঋতুও পার করার সুযোগ নেই। তাঁর গান বাঙালিকে গাইতেই হচ্ছে। মাল্টিমিডিয়া তার রাজ্যপাট খুলে বসার পরে নবনব রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কারের চেষ্টা চলে আসছে। টেলিভিশন হয়ে উঠেছে আধুনিক, শিক্ষিত ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নিঃসঙ্গ ও দলবদ্ধ, যুক্ত ও বিচ্ছিন্ন মানুষের জন্য নিত্য সময়ের ভাগ দেওয়া এক অনিবার্য বিষয়। এখানেও বাঙালি হাত পেতেছে রবীন্দ্রনাথের কাছে। তাঁর গল্প-কাহিনি নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র বাঙালির দর্শনযোগ্য জীবনশিক্ষা হয়ে উঠেছে। চলচ্চিত্রের বিশাল ক্যানভাস থেকে টেলিভিশনের সীমিত বলয়ে রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাস তার অন্তর্নিহিত রস নিয়ে উপস্থিত হতে শুরু করার পর ক্রমশ তা গ্রহণীয় হয়ে উঠেছে। এখানে অভিনবত্ব হলো রবীন্দ্রনাথের গানের দৃশ্যকল্প উঠে আসতে থাকে টেলিভিশনের ছোট পর্দায়। টেলিভিশনের আগে আমাদের মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ প্রকাশিত হয়ে চলেন বিচিত্র আঙ্গিকে। শহুরে বিনোদনসন্ধানী বাঙালির কাছেও রবীন্দ্রনাথ হয়ে ওঠেন অপরিহার্য।
সাহিত্যের সত্যিকারের পাঠকের সংখ্যা কোনোকালেই খুব বেশি নয়। অথচ লাখ লাখ, কোটি বললেও কি ভুল হবে, বাঙালির হৃদয়ে আসন পেতে বসেছেন রবীন্দ্রনাথ। রাষ্ট্র একসময় বাধা দিয়েছে, সেই বাধার বিপরীতে প্রবলশক্তি নিয়ে এসেছে রবীন্দ্রপ্রেম। এটিকে বরং আত্মপরিচয়ের প্রতি, স্বভাষা ও স্বজাতির প্রতি প্রেম বললেই অধিক যুক্তিযুক্ত শোনাবে। রবীন্দ্রচর্চা ছড়িয়ে পড়েছে। বাঙালি যখন তার নিজস্ব স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হলো তখন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করে নিযেছে রবীন্দ্র-অনুভব। বাংলাকে রবীন্দ্রনাথ কত সহজ রূপেই না প্রকাশ করেছেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ বলে। আজো রবীন্দ্রনাথ এভাবেই প্রাসঙ্গিক, অনিবার্য। একইসঙ্গে তিনি চিরকালীন। মুক্তিযুদ্ধের পেছনে বাঙালিদের যে চেতনা, মূল্যবোধ ও আদর্শ ছিল, তার বিরোধিতা বেড়ে চলছিল, তা বন্ধ করার উদ্যোগ চলছিল৷ বাঙালিদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ বড় এক হাতিয়ার ছিলেন। গতশতাব্দীর আশির দশকে রবীন্দ্রনাথকে আবারো আঁকড়ে ধরতে হয়েছিল সে সময়কার সংকট কাটাতে। পরবর্তীকালে যদিও পরিস্থিতি অনেক শুধরেছে, সংস্কৃতিকর্মীদের পথ অনেকটাই সুগম হয়েছে, তবু রবীন্দ্রনাথ থেকে গিয়েছেন, তাঁকে নতুন করে আবিষ্কার করা, রবীন্দ্রনাথের মুক্ত চেতনাকে নতুন ভাবে উপলব্ধি করার ঝোঁকে৷ আর আজও রবীন্দ্রনাথের দেশজ প্রয়োজন, রাজনৈতিক প্রয়োজন, সমসাময়িক প্রয়োজন আছে। তবে তারও উপরে যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো রবীন্দ্রনাথকে আরো ভালো করে জানা, তাঁকে অন্তরে ঠাঁই দেওয়া, রবীন্দ্র দর্শনে নিজেদের উজ্জীবিত করা৷
২.
সকলেই কবিতার পাঠক হয়ে উঠতে পারেন না। কবিতার রস উপভোগের জন্য পাঠককে বিশেষভাবে শিক্ষিত হতে হয়। কবিতার তুলনায় অবশ্য উপন্যাসের পাঠকই বেশি আমাদের দেশে। আজো রবীন্দ্রনাথ বাঙালি উপন্যাস পাঠকদের কাছে পাঠ্য। যদি একখানা উপন্যাসও নির্বাচন করেন পাঠকেরা তাহলে অবধারিতভাবে ‘শেষের কবিতা’-ই উঠে আসে। তাই রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’ একটি বহুলপঠিত এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় উপন্যাস। কেন বাঙালি এত বেশিবার পড়েছে এ উপন্যাস, কেন আজো সমান প্রিয়?
একটু পর্যালোচনা করে দেখা যাক। ক্ল্যাসিকের মর্যাদা পেয়েছে প্রেমিকমনের কাছে এত কোনো সন্দেহ নেই। প্রথম দেখায় প্রেম এরকম একটা আপ্তবাক্য আছে বাংলায়। বাঙালির অনেক প্রেমই প্রথম দেখায় হয়ে যায়, হোক না তা একতরফা। উপন্যাসেও আমরা বারবার দেখি যে, প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে যাচ্ছেন নায়ক বা নায়িকা। আসলে এটাকে প্রেম না বলে আকর্ষণ বলাই সঙ্গত। এরপর সেই আকর্ষণ মোহর রূপ নেয়, তখন তাতে মোহর-অর্জনের চাহিদা তৈরি হতে থাকে। এভাবেই তো ধীরে ধীরে ভালোবাসা বাড়তে থাকে। আবেগ মেলতে থাকে ডাল-পালা, বলা ভালো, পালাক্রমে তাতে যোগ হয় ডানা; কী দশা তখন একজন প্রেমপিয়াসী ব্যক্তির, পা কখনো মাটিতে, কখনো বা ভারসাম্য-এলোমেলো করে-দেওয়া শূন্যে, হাওয়ায়। করোটিতে ব্রহ্মার বহুবর্ণিল স্পন্দন। বাংলা ক্ল্যাসিক উপন্যাসে এমন অনেক শাশ্বত জুটির সাক্ষাৎ পাওয়া যায় যাদের প্রভাব কোনো না কোনোভাবে পড়ে প্রেমিক-প্রেমিকাদের ওপর।
উপন্যাসের নায়ক-নায়িকাদের যে যে পরিস্থিতির ভেতর ফেলে দেন ঔপন্যাসিক; বাস্তব জীবনে অনেক সময় সেই রকম ক্রাইসিসের ভেতর পড়ে যান প্রেমিক- প্রেমিকারা। আসলে প্রেম এমন একটি অথৈ সাগর- যার গভীরে নিমজ্জনের অভিজ্ঞতা বিবিধ-বিচিত্র হলেও মূল অনুভূতিগুলো প্রায় একই রকম। প্রেমে পড়লে যেমন অনেকের মরে যেতে ইচ্ছে করে, তেমনি প্রেম না পেলেও গলায় দড়ি দেওয়া অনিবার্য বলে মনে হয়। তবে প্রেমের জটিলতাগুলো, তার সুড়ঙ্গসমূহ, সমাধিগহ্বরের অন্ধকার আর আলোয় আলোয় ভরা আকাশ ভ্রমণ করে মেলে এমন নুড়ি ও সোনার সম্ভার যার একটার ওজনের সঙ্গে অন্যটার তুলনা চলে না। একটির শীতলতার মাত্রার সঙ্গে অন্যটির তাপমাত্রা এক পাল্লায় মাপা চলে না।
আমাদের কথাশিল্পীদের কেউ কেউ চিরকালের জন্য আমাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন এমন কিছু যুগলকে যাদের ছবি আমাদের মনের গভীরে চিরভাস্বর। সেই রকমই ‘শেষের কবিতা’র অমিত-লাবণ্য। গ্রাম আর শহরের ভালোবাসার ধরন-ধারণে নিশ্চয়ই পার্থক্য রয়েছে, যদিও সেই ব্যবধান আজ অনেকটাই কমে এসেছে। গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত নারীর হৃদয়ের উত্তাপের সঙ্গে উচ্চশিক্ষিত শহুরে নারীর হৃদয়াবেগের তুলনা হতে পারে নিশ্চয়ই। কী উপন্যাসে, কী জীবনে, ভালোবাসা শ্রেণীবৈষম্য ঘুচিয়ে দিতে পারে। যদিও সেটা সীমাবদ্ধ থাকে দুটি প্রেমথরথর নর-নারীর একান্ত চত্বরেই।
কবিগুরুর এই নায়ক অমিত রায় একজন নাম-গোপনকারী কবি। প্রেমিকা লাবণ্যকে সে শোনায় জনৈক নিবারণ চক্রবর্তীর কবিতা, যদিও বুদ্ধিমতী লাবণ্য একেবারে গোড়া থেকেই বুঝতে পেরেছিল যে এই নিবারণ আর কেউ নয়, স্বয়ং অমিত, মানে তার মিতা। মিতাটির সঙ্গে কবিগুরুর কবিতার মিতালী রয়েছে, যদিও সে চায় রবীন্দ্রবলয়ের বাইরে গিয়ে কবিপরিচিতি পেতে। লাবণ্য নিজেও কি কবি নয়! তার কবিতা দিয়েই যবনিকা ঘটেছে এই উপন্যাসের। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। তার আগে উপন্যাসটির আরেক উপেক্ষিত নায়ক শোভনলাল প্রসঙ্গে সামান্য নিবেদন। শেষ পর্যন্ত শোভনলালের সঙ্গেই লাবণ্যের বিয়ে পাকাপাকি হয়। তবে একপর্যায়ে তার অবস্থান কেমন ছিল লাবণ্যের কাছে সেটা বোঝাতে দু’টি বাক্য তুলে দিচ্ছি। প্রেমজীবনের একটি গভীর সত্য হিসেবেও কথাগুলো বিবেচিত হতে পারে।
কথাগুলো হলো : “যাকে খুবই ভালোবাসা যেতে পারত তাকে ভালোবাসবার অবসর যদি কোনো একটা বাধায় ঠেকে ফসকে যায়, তখন সেটা না-ভালোবাসায় দাঁড়ায় না, সেটা দাঁড়ায় একটা অন্ধ বিদ্বেষে, ভালোবাসারই উল্টো পিঠে।” লাবণ্য কেন প্রথমে অমিতকে বিয়ের বন্ধনে জড়াতে চায়নি সেটা একটা বিগ কোশ্চেন, যেখানে প্রায় সমস্ত প্রেমেরই লক্ষ্য থাকে বাসর-রাত রচনার। প্রেমে মহত্ব একটি বিরল বিষয়। এই বিরল জিনিশটি সাহিত্যেও কম এসেছে। শেষের কবিতা যেসব কারণে বাংলা উপন্যাসে অমরত্ব পেয়ে গেছে তার একটি প্রধান উপাদান লাবণ্যের ওই মহত্ব।
৩.
কবির প্রয়াণ দিবস এবং জন্মদিন ঘিরে আয়োজনের বিপুলতা প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে নতুন রং ও শোভা এসে যুক্ত হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণদিবস এবং জন্মদিন দুটোই আজকের বাংলাদেশে কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের দিন; বলতে পারি উৎসবের দিন। কবিগুরুর জন্মদিন মানে এক অর্থে তাঁর পরে জন্মগ্রহণকারী প্রতিটি কবিরই জন্মদিন জন্মের উৎসব করার দিন এমনটাই ভাবতাম তরুণ বয়সে। এদিন বিশেষ পুলক নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। দেখতে দেখতে বাংলাদেশে বিষয়টি এমন দাঁড়াল যে শুধু এ দিন নয়, দিনটির আগে পরেও কয়েকটি দিন জন্মদিনের উৎসব চলছে রীতিমতো। টেলিভিশনই শুরু করেছিল এক এলাহি কাণ্ড; সারা দিন ধরে রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে অনুষ্ঠানের মালা গাঁথা। প্রাণবন্ত আলোচনা, নাটক, কবিতা, গান এবং প্রামাণ্যচিত্র কোনোটাই বাদ পড়ত না। পঁচিশে বৈশাখের মতো বাইশে শ্রাবণও একই ধরনের উৎসব-আয়োজনের দিন। কবির প্রয়াণবার্ষিকীতে এবং জন্মদিনে কবির প্রতি ভালোবাসার যে প্রকাশ ঘটে তা এক কথায় অনবদ্য, অতুলনীয় এবং বিশ্বসভায় অভূতপূর্ব। একদিকে এ থেকে বাঙালির বাঁধভাঙা আবেগ ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারতার বিষয়টিই প্রকাশিত হয়ে থাকে।
স্মরণযোগ্য যে, ১৯২৫ সালের পঁচিশে বৈশাখ কবির জন্মোৎসব পালিত হয় শান্তিনিকেতনে। সেই জন্মোৎসবের অঙ্গ হিসেবে উত্তরায়ণের উত্তর-পশ্চিম সীমানায় পঞ্চবটী (অর্থাৎ অশ্বত্থ, বিল্ব, বট, আমলকী ও অশোক) প্রতিষ্ঠা করা হয়। শান্তিনিকেতনে আনুষ্ঠানিক এবং ধারাবাহিক বৃক্ষরোপণ শুরু হয় আরো তিন বছর পরে ১৯২৮ সাল থেকে। কেন এই বৃক্ষরোপণ উৎসব সে বিষয়ে কবি তাঁর মনোভাব স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ১৯৩৯ সালে। তিনি বলেন : পৃথিবীর দান গ্রহণ করবার সময় মানুষের লোভ বেড়ে উঠল। অরণ্যের হাত থেকে কৃষিক্ষেত্রকে সে জয় করে নিলে, অবশেষে কৃষিক্ষেত্রের একাধিপত্য অরণ্যকে হটিয়ে দিতে লাগল। নানা প্রয়োজনে গাছ কেটে কেটে পৃথিবীর ছায়া বস্ত্র হরণ করে তাকে নগ্ন করে দিতে লাগল। তার বাতাস হলো উত্তপ্ত, মাটির উর্বরতার ভার নিঃস্ব হলো। এই কথা মনে রেখে কিছুদিন পূর্বে আমরা যে অনুষ্ঠান করেছিলুম সে হচ্ছে বৃক্ষরোপণ, অপব্যয়ী সন্তান কর্তৃক মাতৃভাণ্ডার পূরণ করবার কল্যাণ-উৎসব।
আজ রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণবার্ষিকীতে গোটা বাংলায় যথারীতি কবিগুরুকে স্মরণ করা হবে। তবে শহুরে শিক্ষিত মন রবীন্দ্রনাথের গানে মোহমুগ্ধ থেকে তাঁর সাহিত্যের অন্তর্নিহিত মানবকল্যাণ ভাবনার বিষয়ে উদাসীন থাকেন, সে কথাটিও বলা চাই। উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিষকে অকার্যকর করতে এবং মানবতাবাদকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে রবীন্দ্রসৃষ্টির গভীর থেকে অদম্য শক্তির সন্ধান করতে হবে। আনন্দ আহরনের সমান্তরালে কর্তব্য সাধনের দিকটি গুরুত্ব পেলেই বলা যাবে আমরা সার্থকভাবে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করতে পারছি।