অত্যাবশ্যক না হলে বিদেশ ভ্রমণ পরিহারের নির্দেশ
অত্যাবশক না হলে বিদেশ ভ্রমণ পরিহারের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ ছাড়া, ব্যয় কমাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অধিকাংশ সভা অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ব্যয় সাশ্রয়ে সকল মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় করোনা মহমারির অভিঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলমান বৈশ্বিক মন্দাভাব কাটিয়ে অর্থনীতিকে সচল রাখতে ব্যয় সংকোচন নীতি বেছে নিয়েছে সরকার।
এনবিআার চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে অংশ নেন।
সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে সব মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা নিরূপণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি সব দপ্তরে বিদ্যুতের ২৫ শতাংশ ব্যবহার হ্রাস করতে এবং জ্বালানি খাতের বাজেট বরাদ্দের ২০ শতাংশ কম ব্যবহারের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় পরিপত্র জারি করতে।
সভায় অনিবার্য না হলে শারীরিক উপস্থিতিতে সভা পরিহার করতে হবে এবং অধিকাংশ সভা অনলাইনে আয়োজন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অত্যাবশ্যক না হলে বিদেশ ভ্রমণ যথাসম্ভব পরিহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে বাজার মনিটরিং, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মজুদদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ জোরদার করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী পরিবহণে ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধিকল্পে অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআরকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিজস্ব ক্রয় পরিকল্পনা পুনঃপর্যালোচনা করে রাজস্ব ব্যয় হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।