সরকারি কর্মকর্তারা শর্তসাপেক্ষে বিদেশ যেতে পারবেন
সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিদেশ ভ্রমণের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। আজ সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বিভাগ আগের শর্ত শিথিল করে পরিপত্র জারি করেছে।
উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় এক্সপোজার ভিজিট, স্টাডি ট্যুর বা এপিএ ও ইনোভেশন-এর আওতাভুক্ত বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ বা সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
যেসব ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে- পরিপত্রে বলা হয়েছে, পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো দেশ কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশিপ কিংবা ফেলোশিপ এর আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমনওইউ)-এর ভিত্তিতে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় আয়োজিত বিশেষায়িত কিংবা পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে।
বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান কিংবা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে।
এছাড়াও সরবরাহকারী, ঠিকাদার বা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সেবা কিংবা পণ্যের গুণগত মান নিরীক্ষা পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
এর আগে গত ১২ মে জারি করা একটি পরিপত্রে বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ওয়ার্কশপ কিংবা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছিল ও পরিপত্রে।