অনাবিলের চালক ও সহকারীর স্বীকারোক্তি
রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম নিহতের ঘটনায় অনাবিল সুপার পরিবহণের সুপারভাইজার গোলাম রাব্বী ও তাঁর সহকারী (হেলপার) চাঁন মিয়া দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে তারা এই স্বীকারোক্তি দেন বলে জানিয়েছেন আদালতে রামপুরার থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) সেলিম রেজা।
জিআরও বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের হাজির করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আল আমিন মীর। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জিআরও আরও বলেন, গত ১ ডিসেম্বর দুই আসামিকে একদিনের রিমান্ড দেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১টায় রামপুরায় অনাবিল সুপার পরিবহণের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস।
এ ঘটনায় নিহতের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে সড়ক দুর্ঘটনা আইনের ১০৫ ধারায় মামলা করেন। অপরদিকে বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।