আইন ও সংবিধান অনুসারে দায়িত্ব পালন করব : ওবায়দুল হাসান
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘আইন ও সংবিধান অনুসারে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। কমিটির অপর সদস্যদের নিয়ে শিগগিরই বৈঠকে বসব।’
অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারির পর আজ শনিবার সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আমি ও আমার সহকর্মীদের ওপর এই মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের প্রথম বৈঠক করতে মুখিয়ে আছি।’
নামগুলো কীভাবে দিতে পারবেন এমন প্রশ্নে সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘গত সার্চ কমিটিতে আমি সদস্য ছিলাম। সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সেই কমিটির কনভেনার ছিলেন। তখন যেভাবে নাম প্রস্তাব করেছিলাম, আশা করি এবারও সেই রকমভাবে করব। তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নাম পাঠিয়েছিলেন। সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে করা যায় এবার।’
সার্চ কমিটির সভাপতি আরও বলেন, ‘আশা করছি আগামীকালের মধ্যে সার্চ কমিটির সদস্য ও আমার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলব। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কমিটির অপর সদস্যরা হলেন—হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী (পদাধিকার বলে), বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন (পদাধিকার বলে) এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন—সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন ২০২২-এর ধারা ৩ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের যোগদানের জন্য আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করার লক্ষ্যে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হলো।
অনুসন্ধান কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ অনুযায়ী দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন।