আজ রাজধানীতে ১৭ কিলোমিটার যেতে লেগেছে ৩৫ মিনিট
রাজধানী প্রায় ফাঁকা হয়ে উঠেছে। রাস্তায় যানজট নেই। বেশি বেশি মানুষ নেই। নেই গাড়ির চাপও। কারণ, অধিকাংশ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে নাড়ির টানে। উদ্দেশ্য, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা।
আজ শনিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিট। রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে একটি মাইক্রোতে ফার্মগেট হয়ে আসাদগেট যেতে সময় লেগেছে মাত্র পাঁচ মিনিট। আসাদগেটের আড়ং-এর পাশ ঘেঁসে নিউমার্কেট পৌঁছাতে সময় লাগে আরও চার মিনিট। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে গুলিস্তান পৌঁছাতে সময় লাগে আরও ১২ মিনিট।
গুলিস্তান থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে কমলাপুর রেল স্টেশন যেতে সময় লাগে আরও ৬ মিনিট। সময় তখন দুপুর ২টা ৭ মিনিট। এ সময়ের মধ্যে মাইক্রোটি খুব দ্রুত চলেনি। বরং আস্তে-ধীরে চলছিল।
কমলাপুর গিয়ে কথা হয় সুজন মাহমুদের সঙ্গে। তিনি ট্রেনে চড়ে রাজশাহী যাবেন বলে ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধানমণ্ডি থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে কমলাপুর এসেছি ১৫ মিনিটে। পুরো রাস্তা ফাঁকা। একটি সিগন্যালেও পড়িনি।’
সময় তখন ২টা ৩৩ মিনিট। রাজধানীর কমলাপুর থেকে মাইক্রোতে রওনা দিয়ে মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভার হয়ে কারওয়ান বাজারে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র সাত মিনিট। এ সময়ের মধ্যে গাড়ি চলেছে ১৭ কিলোমিটার। অর্থাৎ ১৭ কিলোমিটার গাড়ি চলতে সময় লেগেছে ৩৫ মিনিট। সেটাও আস্তেধীরে। এ সময়ের মধ্যে কোথাও যানজট ছিল না। রাস্তায় বাসের সংখ্যাও অনেক ছিল না। তবে, ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা অনেক ছিল। আর ছিল কোরবানির গরু বহনকারী মিনি ট্রাক। মানুষজনও কম ছিল। এই পুরো সময়টিতে কোথাও একটি সিগন্যালেও অপেক্ষা করতে হয়নি।
কারওয়ান বাজারে কথা হয় তৌহিদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি ঢাকার স্থানীয়। জন্মও ঢাকায়। বাজার-সদায় করতে এসেছেন কারওয়ান বাজার। তিনি বলেন, ‘ঢাকা ফাঁকা হয়ে গেছে একদম। তবে, খারাপ লাগছে না। মনে হচ্ছে, রাজধানী একটু স্বস্তি পেয়েছে। কিন্তু, এটাও ঠিক; এটা রাজধানীর চিরাচরিত রূপ নয়।’