আবারও শিমুলিয়া-মঙ্গল মাঝির ঘাটে পরীক্ষামূলক ফেরি
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-জাজিরার সাত্তার মাদবর কান্দির মঙ্গল মাঝির ঘাট নৌপথে আবারও পরীক্ষামূলক ফেরি চালানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শিমুলিয়া ঘাট থেকে মঙ্গল মাঝির ঘাটের উদ্দেশে ৩৩টি ছোট যানবাহন নিয়ে ফেরি কুঞ্জলতা ছেড়ে আসে। যানবাহন নামিয়ে তা আবার শিমুলিয়া ঘাটে ফিরে যায়।
ফেরিটি আসা-যাওয়ার সময় কোথায়ও নাব্য সংকটে পড়েনি। সফলভাবে ফেরি চলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়মিত ফেরি চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
এর আগে গত শনিবার দুপুরে ওই নৌপথে পরীক্ষামূলক ফেরি চালানো হয়েছিল। তখন নৌপথের লৌহজং টার্নিং থেকে মঙ্গলমাঝির ঘাট পর্যন্ত চারটি স্থানে নাব্য সংকট থাকায় ফেরি আটকে যায়।
ফেরি কুঞ্জলতার চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ৩২টি ছোট গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে সাত্তার মাদবর কান্দির মঙ্গল মাঝির ঘাটের দিকে রওনা হই। ফেরিটি এক ঘণ্টা ১০ মিনিটে ঘাটে এসে পৌঁছায়। ফেরার পথে সময় লেগেছে এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিট। যাওয়া-আসার পথে কোথাও নাব্য সংকটে পড়তে হয়নি। নিম্নচাপ থাকায় ও জো চলায় নদীতে পানি বেড়েছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরি চালাতে সমস্যা হয়নি। এখন তিন-চার দিন নদীতে পানির উচ্চতা বেশি থাকবে। এরপর ফেরি চালাতে গিয়ে নাব্য সংকট দেখা দেবে কি না, তা বুঝা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ) ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলতে গিয়ে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরিগুলো পদ্মা সেতুর সঙ্গে কয়েক দফা ধাক্কা লাগে। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৮ আগস্ট থেকে ওই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন থেকে শরীয়তপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ চরম বিপাকে পড়েন। লঞ্চ ও স্পিডবোট দিয়ে মানুষ পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছে।
জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মঙ্গল মাঝির ঘাটে গত ২৫ আগস্ট নতুন করে একটি ফেরিঘাট নির্মাণ শুরু করে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিটিএ।
ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য বর্তমানে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিটিসির সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আহম্মেদ আলী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ আবারও পরীক্ষামূলক ফেরি চালানো হয়েছে। যানবাহন নিয়ে ফেরিটি আপ-ডাউন ট্রিপ দিয়েছে। পরীক্ষামূলক চলাচল সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই মুহূর্তে নাব্য সংকট পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়মিত ফেরি চালানোর সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। বিআইডব্লিটিএর খনন বিভাগ ফেরি চালানোর পরামর্শ দিয়েছে। যেখানে নাব্য সংকট দেখা দেবে সেখানেই তারা খনন করে দেবে।