আবাসিক হোটেলের কক্ষে নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আদনান সাকিব (২৫)। গত মঙ্গলবার থেকে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না সাকিবের স্ত্রী। পরে গতকাল বুধবার শাহবাগ থানায় নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান পেতে তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডি করার পর থেকে থানা পুলিশ আদনান সাকিবকে খুঁজতে মাঠে নামেন। মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করেন। পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে তাঁরা জানতে পারেন, সাকিব রাজধানীর সেগুনবাগিচার হোটেল কর্ণফুলি নামের একটি আবাসিক হোটেলে রয়েছেন।
গতকাল গভীর রাতে হোটেল কর্ণফুলিতে যান শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাকে জানালেন, এ হোটেলের সিট বুকিং সাকিবই করেন। হোটেলে প্রবেশের সময় সাকিব কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছেন। পরে আমরা সাকিবের কক্ষের সামনে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে তালা দেওয়া।’
এসআই পলাশ আরও বলেন, ‘অনেক হাঁকডাক করলাম। কিন্তু, কোনো আওয়াজ শুনতে না পেয়ে আমরা কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকি। ঢুকে দেখি, সাকিব রশি পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে রয়েছেন। মনে হলো, আরও আগেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পরে সেখান থেকে রাত দেড়টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।’
পুলিশ জানায়, আদনান সাকিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। সাকিবের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়।
এসআই পলাশ সাহা আরও বলেন, ‘আদনান সাকিবের পরিবারকে এ ঘটনা জানানো হয়েছে। তাঁর বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে, সাকিবের ভাই-ভাবী ও স্ত্রী থানার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’