‘আমরা খেলতে জানি, ভূতের ভয় আমাদের দেখাবেন না’
‘আমরা খেলতে জানি, আমাদের ভূতের ভয় দেখাবেন না। ফরিদপুরে বিগত দিনে যে অত্যাচার হয়েছে, সেই অত্যাচার পাকিস্তানি সেনারাও করেনি। দেশে কিছু নব্য রাজাকারের উদয় হইছে, এসব রাজাকারকে প্রতিহত করবে যুবলীগ।’
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের জসিমউদদীন হলে জেলা যুবলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন ফরিদপুর ৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
নিক্সন চৌধুরী আরও বলেন, দীর্ঘ ১২ বছরের শোষণ নির্যাতন ও দুঃশাসন থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের মানুষকে মুক্ত করেছেন। আগামীতে এখানে শোষণ করার মতো কাউকে সুযোগ দেবে না এই এলাকার জনগণ। যুবলীগের নেতৃত্বে এসব রাজাকার, বেঈমান ও খন্দকার মোশতাকদের আমরা প্রতিহত করব।’
নিক্সন বলেন, ‘যুবলীগ কারও চাকর নয় যে নেতাদের বাজার করে দেবে। যুবলীগ একটি সহযোগী সংগঠন। এই সংগঠন আওয়ামী লীগকে সাহায্য সহযোগিতা করবে। পাঁচ টাকা খেয়ে মিটিং মিছিলে যাওয়া যুবলীগের কাজ নয়। আমাকে ভয় দেখাবেন না। অনেক বড় বড় প্লেয়ারের সঙ্গে খেলে এসেছি। আমি খেলতে জানি।’
এ সময় নিক্সন ফরিদপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি আমাদের মুরুব্বি। ভাঙ্গার এমপি ও জেলা যুবলীগ আপনার সঙ্গে আছে। আপনি একা নন, এই কথাটা মনে রাখবেন।’
নিক্সন চৌধুরী এ সময় ফরিদপুরের এক নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আপনারা ভূতের ভয় পাচ্ছেন, তিনি আসছেন, তিনি আর আসবেন না। আর এলেও আমরা খেলতে জানি, কীভাবে খেলতে হয়।’
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন। প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতির সবচেয়ে দুর্দিন ছিল সেই দিন, যেদিন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেদিন থেকে বাঙালি এতিম হয়ে গেছে। আমরা আজ পিতা হারা।’ তিনি সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
মনজুর হোসেন আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দিন-রাত পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আজকের দিনে আমাদের শপথ হবে অমাদের প্রিয় নেত্রীকে সাহায্য করার।’
সভায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে ও তাঁর রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবুসহ অনেকেই।
সভার শুরুতেই ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।