আরএমপিতে যুক্ত হলো ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’
রাজশাহী মহানগর পুলিশে (আরএমপি) সংযুক্ত হলো আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ (বডি ক্যাম)। এই ক্যামেরা দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যের শরীরে সংযুক্ত থাকবে। ক্যামেরায় তার সামনে ঘটা পুরো ঘটনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড হবে। সেই ঘটনা পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। প্রথম পর্যায়ে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্টদের শরীরে থাকা ইউনিফর্মের সঙ্গে এই ক্যামেরা সংযুক্ত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে গুরুত্ব বুঝে সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের শরীরে এই ক্যামেরা সরবরাহ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় আবু কালাম সিদ্দিক জানান, প্রযুক্তিগত দিক থেকে পুলিশের এগিয়ে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্যই জনগণের কল্যাণ সাধন ও পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, প্রথম পর্যায়ে ৮০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা সংযুক্ত হচ্ছে আরএমপিতে। প্রথম পর্যায়ে সার্জেন্টদের এ ক্যামেরা দেওয়া হচ্ছে। ছোট আকৃতির এই ক্যামেরা দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে থাকা অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামালের মতো ইউনিফর্মের সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে সংযুক্ত করা থাকবে।
সূত্র মতে, পুলিশের ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ ভ্রাম্যমাণ সিসিটিভি হিসেবে কাজ করবে। ক্যামেরার সঙ্গে বিল্ট ইন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) থাকায় ওই পুলিশ সদস্যের অবস্থান কন্ট্রোল রুম থেকে সহজে শনাক্ত করা যাবে। এই ক্যামেরায় ধারণ করা সব তথ্য চলে যাবে আরএমপির কেন্দ্রীয় সার্ভারে। তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা চোখ এড়িয়ে গেলেও এই ক্যামেরা সবকিছু রেকর্ড করে রাখবে। বডি ওর্ন ক্যামেরায় অডিও, ভিডিও ধারণসহ স্টিল ছবি ক্যাপচার করা যাবে। জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে কন্ট্রোলরুম থেকে বা যেকোনো স্থানে বসেই ক্যামেরার সবকিছু তদারকি করা যাবে। ফোর জি ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে এই ক্যামেরা ডিভাইসের অডিও এবং ভিডিও পাওয়া যাবে। আরএমপি পরিচালিত টহল, চেকপোস্ট পরিচালনাসহ যেকোনো অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এই বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন। ঘটনার প্রকৃত চিত্র উদঘাটনের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের আচরণ ও গতিবিধি কঠোর নজরদারির মধ্যে আনতে উন্নত দেশগুলোর মতো আরএমপির সদস্যরাও শুরু করছেন পোশাকের সঙ্গে ক্যামেরার ব্যবহার।
পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক জানান, ‘সার্জেন্টদের শরীরে বডি ওর্ন ক্যামেরা সংযুক্ত করার মাধ্যমে আরএমপিতে এই বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলো। একই সঙ্গে টহল, চেকপোস্ট পরিচালনাসহ যেকোনো অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা এই ক্যামেরা ব্যবহার করবে। যার মধ্য দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আমরা জানতে সক্ষম হব।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ও মোড়সমূহে ৩০০টি সিকিউরিটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যার সুফল এরই মধ্যে নগরবাসী পেতে শুরু করেছে। এই সিকিউরিটি ক্যামেরার মাধ্যমে অনেক অপরাধীদের চিহ্নিত করতে ও তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে আরএমপি।’