আ.লীগ-বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার নির্বাচনে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় পৌর বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, সাঁথিয়া পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সাঁথিয়া পৌর এলাকার কলাইচড়া ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে যান বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সমর্থকরা। এ সময় কে বা কারা ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে বাধা দেন ও সমর্থকদের ওপর চড়াও হন। এ সময় ধানের শীষের সমর্থক ও মেয়র পদপ্রার্থীর ছোটভাই মিরাজ মল্লিক (২৫) আহত হয়। তাঁকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরে ধানের শীষের সমর্থকরা পৌরসভার মহিলা মাদরাসার সামনে একত্রিত হয়ে নৌকার সমর্থকদের ওপরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হামলা চালায়। এ সময় ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিন্টুর ছেলে সাজিদ হাসান জিকোসহ ছয়জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের সাঁথিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ৯টার দিকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতরা হলেন সাজিদ হাসান জিকো (২৮), ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুমন (২৯), সুজানগর উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের সোহান (২৯) সাব্বির (২৭) ও মিলন (২৬)।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৭টার পরে সাঁথিয়া পৌর আওয়ামী লীগ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এদিকে, সন্ধ্যার পরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে পৌর বিএনপির অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেন ধানের শীষের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। তাঁর কর্মী সমর্থকরা পোস্টার সাটাতে গেলে তাতে প্রতিপক্ষ বাধা সৃষ্টি ও মারপিট করে।
সাঁথিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুল আলম বাচ্চু জানান, ধানের শীষের প্রার্থী তাঁর পরাজয় নিশ্চিত ভেবে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে চাচ্ছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।