আসামি ধরার নামে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে পুলিশের তাণ্ডবের অভিযোগ
সাদা পোশাকে আসামি ধরার নামে নওগাঁর মান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মান্দা থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
আজ শুক্রবার সকালে মান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে চেয়ারম্যানের বাড়ির আপ্যায়ন কক্ষের দরজাসহ বেশকিছু আসবাবপত্র। কয়েকজন নারীকে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিউর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। পরে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান গিয়ে তিন ঘণ্টা পর মুক্ত করেন এসআই আতিউর রহমানকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অতি উৎসাহী হয়ে আসামি ধরার নামে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বাড়িতে তাণ্ডব চালান এসআই আতিউর রহমান। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও দাবি করে তারা।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, সদর ইউনিয়নের ঘাটকৈর গ্রামের এক নারী একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মৎস্যজীবীপাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দেন। বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়িও করছিলেন ওই নারী। আজ সকালে সেই ঘটনা মীমাংসার জন্য দুই পক্ষই তার বাড়িতে আসে। এ অবস্থায় ইউপি সদস্য রুস্তম আলীসহ দুই পক্ষকে নিয়ে তিনি তার অপ্যায়ন কক্ষে আলোচনায় বসেন। এ সময় হঠাৎ করেই সাদা পোশাকে এসআই আতিউর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে উপস্থিত হন। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রুবেল হোসেনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে কয়েকজন নারীকে হেনস্তা করাসহ ওই কক্ষের বেশকিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন এসে এসআই আতিউর রহমান অবরুদ্ধ করে রাখে।
ইউপি সদস্য রুস্তম আলী অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সদস্যরা মামলার আগেই আসামি ধরার নামে কয়েকজন নারীর পরনের কাপড় ছিঁড়ে লাঞ্ছিত করে। পরে রুবেল হোসেন ও ওই নারীকে ধরে থানায় নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের একটি মামলাও রেকর্ড করে পুলিশ। মামলার আগেই পুলিশি তাণ্ডবের নিন্দা জানিয়ে তদন্ত করে দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিম ওই নারী আজ শুক্রবার সকালেই থানায় মামলা করেন। ওই মামলার আসামি ধরতে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বাড়িতে অভিযান চালান এসআই আতিউর রহমান। সেখানে আসামি ধরা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরে আমি গিয়ে ভিকটিম, আসামিসহ তাদের থানায় নিয়ে আসি।