ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপি
আগামী সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে মেশিনটি যাচাই করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ যাচাইয়ে ইসির নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ দ্বিতীয় দফায় ১৩টি দলকে ডাকা হয়েছিল। যেখানে সাড়া দেয়নি বিএনপিসহ পাঁচ রাজনৈদিক দল। বাকি আট দল নিয়ে সভা করছে কমিশন।
দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও দলগুলো সভায় অংশ নেয়নি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিকেল তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে সভাটি শুরু হয়।
দ্বিতীয় দফায় ইসির সভায় আট দল
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
এদিকে, ইভিএম যাচাইয়ের প্রথম সভায় ১৩ দলকে টেকনিক্যাল পারসনসহ আমন্ত্রণ জানানো হলেও সে অনুষ্ঠানে ১০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিলেও তাঁদের সঙ্গে কোনো টেকনিক্যাল পারসন ছিল না। তবে, আজকে উপস্থিত কয়েকটি দলের সঙ্গে টেকনিক্যাল পারসন রয়েছে বলে জানান দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশিদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ ইসিরি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তৃতীয় দফায় ২৮ জুনের বৈঠকে যারা আমন্ত্রণ পেয়েছে
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে যন্ত্রটি প্রদর্শন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কারিগরি বিষয়ে প্রশ্নোত্তর, মতবিনিময়ের জন্য এই ব্যবস্থা নিচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এর মধ্যে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও ইভিএম নিয়ে মতবিনিময় করেছে কমিশন।
এ ছাড়া অংশীজনের সঙ্গে ইসির চলমান সংলাপে ইভিএম নিয়ে পক্ষ বিপক্ষে মত এসেছে। কমিশনও বলছে, সবার মতামত পর্যালোচনা করেই ইভিএমের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।