এক পৌর ও দুই ইউপির ভোট স্থগিত, মির্জাবাড়ীর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ
এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় টাঙ্গাইলের মধুপুরের মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া ওই ইউনিয়ন ও বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়ন এবং ঝিনাইদহ পৌরসভার ভোট স্থগিত করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
আজ রোববার ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা চিঠিতে এসব নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত মামলা সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়—টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুর রহিমের পক্ষে মধুপুর উপজেলাধীন মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম ঘোষণা দেন যে, ‘টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলাধীন অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা যারা ভোট দিতে নারাজ, দয়া করে কেন্দ্রে আসবেন না। আমরা আশেপাশেই অবস্থান করব। এখানে ২৪০০ ভোট রয়েছে, যদি দুই হাজার ভোট কাস্ট হয়, আমরা দুই হাজার ভোটই পেতে চাই।’
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘তাঁর এমন বক্তব্য বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখিত কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী অপরাধ। একারণে মধুপুর উপজেলাধীন মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার (জি.আর.) জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এই অবস্থায় উল্লেখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে মামলার জন্য এজাহার দায়ের ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
দুই ইউপি ও এক পৌরসভার ভোট স্থগিত
অপর এক নির্দেশনায় বলা হয়, ‘নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় আগামী ১৫ জুনে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নতুন আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। একই কারণে বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এসব জায়গায় আগামী ১৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া ঝিনাইদহ পৌরসভার ভোট স্থগিত করা হয়েছে।