এ বছরও খালেদা জিয়ার ঘরবন্দি ঈদ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। বাসায় চিকিৎসকদের নিয়মিত ফলোআপে রয়েছেন।
আগামীকাল রোববার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হতে যাচ্ছে। বিগত কয়েকটা ঈদের মতই এবারের ঈদও ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে। তবে কিছুটা প্রশান্তির ছোঁয়া ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে নাতনি জাফিয়া রহমানও তার সঙ্গে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কয়েকদিন যাবৎ আমি বেশ অসুস্থ। তাই আমি কিছুদিন যাবৎ তাঁর (খালেদা জিয়া) বাসায় যেতে পারছি না। আমার হাসব্যান্ডও ১৫-২০ দিন যাবত অসুস্থ। ঈদের দিন যেতে পারব কি না, তা নির্ভর করছে শারীরিক অবস্থার ওপর।
সম্প্রতি মধ্যরাতে খালেদা জিয়াকে জরুরি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে জানান তাঁর মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে। পরে তাঁর হার্টে দুটি রিং বসানো হয়।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা এনটিভি অনলাইনকে জানান, খালেদা জিয়াকে নিয়মিত দুই-তিনজন চিকিৎসক দেখাশোনা করেন। এছাড়া ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন সার্বক্ষণিক খবর রাখেন। ঈদের দিন সকালে একজন চিকিৎসক দেখে আসবেন। এরপর বিকেলে ও রাতে অন্যান্য চিকিৎসক দেখতে যাবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সব সময় উদ্বিগ্ন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসায় ডাক্তারের পরামর্শ রয়েছে। এই নিয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে অনেকটা নিভৃতেই কাটছে তাঁর ঘরবন্দি জীবন।
সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর প্রতি ঈদে সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তবে এবারের ঈদে দলীয় নেতারা দেখা করতে যাবেন কি না, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
গত ২৪ জুন খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। শাশুড়িকে লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং তার দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান। গত ৩ জুলাই শর্মিলা রহমান ছোট মেয়ে জাহিয়াকে নিয়ে ঢাকা ছাড়েন। জাফিয়া রহমান দাদির সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকায় থেকে যান।
ঈদের দিন খালেদা জিয়া লন্ডনে ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং দুই ছেলের নাতি-নাতনিদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
প্রতি বছর ঈদের দিন ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাসা থেকে খালেদা জিয়ার পছন্দের খাবার রান্না করে নিয়ে আসেন। খালেদা জিয়া সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে থাকেন।