করোনার ক্ষতি না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদের চতুর্থ বর্ষপূর্তি ও পঞ্চম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালের শুরুতে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এক গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছিল, কিন্তু আপনাদের সহায়তায় এবং আমাদের সরকারের সময় মতো উদ্যোগ নেওয়ার ফলে আমরা খুব ভালোভাবেই সেই মহামারি মোকাবিলা করতে পেরেছি। টিকা পাওয়ার যোগ্য শতভাগ মানুষকে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অর্থনীতিতে মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় ২৮টি প্যাকেজের আওতায় এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছি। গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতনভাতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৫০ লাখ প্রান্তিক মানুষকে দুই দফায় আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় প্রায় সাত কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নানাভাবে উপকৃত হয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠান উপকৃত হয়েছে প্রায় দুই লাখ ১৩ হাজার ৪৬৭টি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই শুরু হয়েছে রাশিয়া-উইক্রেন যুদ্ধ। পশ্চিমা দেশগুলোর এবং রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি অবরোধের ফলে খাদ্য, জ্বলানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে পরিবহণ খরচ। ফলে আমাদের দেশেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ১৪ বছরে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে। বাংলাদেশকে আজ আর কেউ বন্যা, খরা, দুর্যোগের দেশ হিসেবে দেখে না। বাংলাদেশ এখন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, উন্নয়নের রোল মডেল। বিভিন্ন আন্তজার্তিক ফোরামে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জাতিসংঘসহ দুই ডজনেরও বেশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সংগঠনে বাংলাদেশ সক্রিয় সদস্য। গত অক্টোবরে পঞ্চম বারের মতো বিপুল ভোটে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।’