করোনার টিকার টাকা এ সপ্তাহেই ভারত যাচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চলতি জানুয়ারির মধ্যেই করোনাভাইরাসের টিকা দেশে আসবে বলে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সপ্তাহেই সিরাম ইনস্টিটিউটকে, অক্সফোর্ডের এই টিকার টাকা পরিশোধ করা হবে বলেও জানান তিনি। আজ শনিবার মানিকগঞ্জে নিজ নির্বাচনী এলাকায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দুদিন আগেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিডের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চুক্তি হয়েছিল গত নভেম্বরে। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে টিকার তিন কোটি ডোজ দিবে সিরাম ইনস্টিটিউট।
শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জানুয়ারিতেই দেশে আসছে করোনার এই টিকা এবং প্রতি চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসবে। তবে আরো বেশি সংখ্যক টিকার ডোজ আনতে সরকার তৎপরতা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমি মনে করি, ফেব্রুয়ারিতে হয়তো যাবে না, তার আগেই জানুয়ারি মাসের কোনো এক সময়ে হয়তো আমরা টিকা পেয়ে যাব। আমাদের তো পেপার ফরমালিটি যা ছিল সেটা প্রায় কমপ্লিট হয়ে গেছে। এ সপ্তাহে টাকাও চলে যাবে। তাদের যে অ্যাডভান্স টাকা, সেটাও চলে যাবে। ঔষধ প্রশাসনও আশা করি কাগজপত্র পেয়ে অনুমোদন দিয়ে দিবে।‘
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পর্যায়ক্রমে ১০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রাথমিক লক্ষ্য সরকারের। এক্ষেত্রে একটি টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কখন, কারা, কীভাবে টিকা পাবে সেই তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন আমাদের সক্ষমতার সঙ্গে মিলে। এখন ভ্যাকসিনটা এলে আমরা চাইব, ভ্যাকসিনটা আমরা যেন দ্রুত মানুষকে দিতে পারি। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য একটা কমিটি আছে, ন্যাশনাল কমিটি। লোকের নাম, কারা কোথায় কোন জেলায় কোন পয়েন্টে দিবে সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
বেসরকারি খাতও টিকা আনতে আগ্রহী জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে।