করোনা মোকাবিলায় আরও ১১ লাখ টিকা দিল ডাব্লিউএইচও
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে আরও ১১ লাখ টিকা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। ইতোমধ্যে টিকাগুলো হাতে পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া শিগগিরই ডাব্লিউএইচও আরও ২০ লাখ টিকা দিবে। খোদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি ওমিক্রন ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় নতুন করে আরও ১১ লাখ ভ্যাকসিন হাতে এসেছে।’ তিনি বলেন. ‘খুব শিগগিরই আরও ২০ লাখ ভ্যাকসিন দেবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এই ভ্যাকসিনগুলো বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া শুরু করা হবে।’
বর্তমানে দেশে চিকিৎসাসেবার পরিধি অনেক বেড়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউটসহ সাড়ে ৭০০ হাসপাতাল ও ১৮ হাজার ক্লিনিক হয়েছে। এগুলোতে ৩৩ হাজার চিকিৎসক ও ৪৫ হাজার নার্স চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।’
চিকিৎসা সেবায় বর্তমান সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে খুব অল্প পরিসরে আমাদের দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন আমাদের হাসপাতালগুলোতে ৬০ হাজার শয্যা রয়েছে। করোনার সময়ও সরকার অত্যন্ত দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছে।’
একসময় দেশে ওষুধের তীব্র সংকট ছিল জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন আমাদের দেশেই বিশ্বমানের ওষুধ তৈরি করা হয়। নিজস্ব চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও ওষুধ রপ্তানি করছি।’
বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের ৫১ সরকারি হাসপাতালে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। এই সেবায় দেশের মানুষ খুশি। চিকিৎসকরাও খুশি মনে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এই সেবার পরিধি আরও বাড়ানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আরও ১০০ হাসপাতালে এ সেবা চালু করা হবে।’