কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষাবিধি অনুশীলন অত্যন্ত জরুরি : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকার, মালিক, শ্রমিকসহ সব উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৩’ পালনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে সব শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতার পর তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলওর পাঁচটি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা শিল্প মালিক ও সরকারের দায়িত্ব। সরকার দেশের সব খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।’
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কল্যাণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
মো. সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বিগত এক দশকে শিল্প-কারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণসহ কর্মক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সঙ্গে অভিযোজনের লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।