কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় উপজেলা আ. লীগনেতা গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন শীল নকুলকে (৫০) কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকেলে তাকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত নকুল উপজেলার শিবালয় নতুনপাড়ার বাসিন্দা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী নিজেই শিবালয় থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন।
এদিকে, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তারের ঘটনায় শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। ঘটনা সত্যি হলে দলীয় ফোরামে কথা বলে সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভুক্তভোগীর অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রীতি আওয়ামী লীগ নেতা নকুল শীল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন। এতে তার একটি হাত ভেঙে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি আসেন। এ সময় প্রতিবেশী অসহায় এক কলেজছাত্রী প্রতিদিন তিনশ টাকার বিনিময়ে তার হাত ম্যাসেজ করে দিতেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হাত মেসেজ করে দিতে গেলে নকুল জোর করে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় কলেজছাত্রীর চিৎকারে বাড়ির অন্য ঘরে থাকা তার স্ত্রী এগিয়ে এলে তাকে ছেড়ে দেন।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মা বলেন, ‘এ ঘটনার পর নকুল আমাদের পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কাউকে কিছু না বলতে নিষেধ করেন। কাউকে কিছু বললে কিংবা পুলিশকে জানালে সমস্যা হবে বলে নানা হুমকি-ধমকি দেন। থানায় অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে জানান। নকুল অনেক আগে থেকেই একজন কুচরিত্রের লোক। এর আগে আমাকেও কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।’
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘একজন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর অভিযোগ করেন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। পরে আসামি নকুল শীলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।’