কালকিনিতে যুবকের পা কেটে বিছিন্ন, যুবলীগ নেতাসহ আহত ৫
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় মো. মিরাজ খাঁন (৪৩) নামের এক যুবকের একটি পা কেটে বিছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাধা দিতে গেলে যুবলীগ নেতাসহ আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের কালাই সরদারের চর গ্রামের কবির খাঁনের পরিবারের সঙ্গে একই এলাকার আপাং কাজীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ কারণে কবির খানের ভাই আহত মিরাজ খাঁন এলাকার বিরোধ থেকে রক্ষা পেতে একই ইউনিয়নের মৌলভীকান্দি গ্রামে তাঁর ছেলে নাজমুলের শ্বশুর আনোয়ার কল্লার বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু রাতে দুর্বৃত্তের দল ওই এলাকায় বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে কুপিয়ে মিরাজ খানের বাঁ পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ সময় তাদের বাধা দিলে মিরাজ খানের ছেলে নাজমুল, ফুলমালা, রেভা, জিয়াসমিনসহ পাঁচ জন আহত হন।
আহদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে সোহেলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মিলে পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তাইজুল ইসলাম সাজ্জাদকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মিরাজ খানের বিছিন্ন পা উদ্ধার করেন কালকিনি থানা পুলিশ।
আহত যুবলীগ নেতা তাইজুল ইসলামের বাবা কাসেম তালুকদার বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। ফজরের নামাজ পরে বাড়িতে এলে সোহেলসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমার ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে দুটি স্বর্ণের চেইন, নগদ তিন লাখ টাকা ও চারটি গরু নিয়ে যায়।
আহত মিরাজের ছেলে নাজমুলের শাশুড়ি রেভা বেগম বলেন, ‘আমার ঘরে ঢুকে মিরাজের পা কেটে বিছিন্ন করেছে। তাদের হামলায় আমরা সবাই আহত হয়েছি। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে বলতে পারব না। কারণ আমি কাউকে চিনি না।’
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘রাতেই আমরা ঘটনাস্থল থেকে মিরাজের বিছিন্ন পা উদ্ধার করি এবং অভিযুক্তদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’