কিশোরগঞ্জে বিজয় দিবসের শোভাযাত্রায় সংঘর্ষ, আহত ১২
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বিজয় দিবসের শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন এবং বিএনপির দুটি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকার টিঅ্যান্ডটি কার্যালয়ের সামনের সড়কে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের রেজু মার্কেট থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি নিয়ে সিনেমা রোড ও বাঁশমহল হয়ে টিঅ্যান্ডটি সড়ক অতিক্রম করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রার মুখোমুখি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুই দলের কর্মীরা পরস্পরের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে ও পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ আশাপাশের এলাকা জুড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। আধ ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শহরের চালমহল এলাকায় পৌর বিএনপি ও বাজিতপুর বাজার এলাকায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে বিএনপির আটজন এবং আওয়ামী লীগের চারজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে আছেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন মিয়া, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ আহমেদ, জেলা যুবদলের সদস্য সাদ্দাম হোসেন এবং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য হৃদয় আহমেদ। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাজিতপুর পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ বলেন, ‘বিএনপি উদ্দেশ্যমূলকভাবে শোভাযাত্রা বের করেছিল। তাদের মিছিল থেকে নোংরা ও উস্কানীমূলক স্লোগান দেওয়া হয়। আমাদের কর্মীরা এর প্রতিবাদ করলে সামান্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।’
অন্যদিকে, নোংরা ও উস্কানীমূলক স্লোগান দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় হামলা চালিয়েছে এবং দুটি অফিস ভাঙচুর করেছে।’
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সামান্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ আছে।