কুমিল্লায় কাউন্সিলরসহ জোড়া খুনের মামলার আসামি ইমরান গ্রেপ্তার
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলার তদন্তে পাওয়া আসামি ইমরান খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কুমিল্লার সুজানগরের ইমরান খন্দকারকে গতকাল বুধবার রাত ১১টায় কুমিল্লা শহরের আলেখার চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানিয়েছে, ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মামাতো ভাই জিসান (এজাহার নামীয় ৮ নম্বর আসামি) তাকে ফোন করে তাদের বাসার দিকে যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর ইমরান শাহ আলম, সাব্বির, জেল সোহেল, সাজেন ও মাসুমসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজন লোক দেখতে পায়। তারা তিনটি কালো ব্যাগে অস্ত্র, গুলি ও হাতবোমা ভর্তি করছিল। ইমরান ও জিসান তাদের ব্যাগ ভর্তি করতে সহযোগিতা করে। তারপর ব্যাগ তিনটি ইমরান ও জিসানকে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ইমরান ও জিসান অস্ত্র, গুলি ও বোমাভর্তি ব্যাগ তিনটি সংরাইশ এলাকায় রহিম ডাক্তারের গলিতে তাজিহা লজ নামক বাসার ভেতরে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
গ্রেপ্তার করা ইমরান খন্দকারকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।
বুধবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এ মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম নিহত হন। এর আগে গত সোমবার রাতে তিন নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন ও পাঁচ নম্বর আসামি সাজেন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
২২ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় অফিসে ঢুকে কাউন্সিলর মো. সোহেল এবং তাঁর সহযোগীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও চার জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সুমন নামের এজহারনামীয় চার নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিডনি সমস্যায় সুমন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।
পরে ২৫ নভেম্বর চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৯ নম্বর আসামি মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২৬ নভেম্বর রাতে হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি মো. আশিকুর রহমান রকি (২৯) ও ৭ নম্বর আসামি মো. আলম মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার (১ ডিসেম্বর) এই মামলার অপর আসামি শাখাওয়াত হোসেন প্রকাশ জুয়েলকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। তাঁর বাড়ি নগরের সুজানগর এলাকায়। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।