কোথায় খেলার মাঠ থাকবে, সিদ্ধান্ত নেবে সিটি করপোরেশন : ডিএমপি
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন বলেছেন, ‘সেখানে (তেঁতুলতলা মাঠে) খেলার মাঠের প্রয়োজনীয়তা আছে, তা কিন্তু আমরা অস্বীকার করছি না। ডিএমপির ভেতরে কোথায় খেলার মাঠ থাকবে, সে বিষয়টি কিন্তু আমাদের এখতিয়ারভুক্ত না। আসলে সিটি করপোরেশন সিদ্ধান্ত নেবে, কোথায় খেলার মাঠ থাকবে।’
ডিমএমপি মিডিয়া সেন্টারের নিজ কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার তিনি সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফারুক হোসেন এ কথা জানান।
ফারুক হোসেন বলেন, ‘প্রস্তাবিত ওই জায়গার পাশেই কলাবাগান খেলার মাঠ আছে। সেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারে। খেলাধুলার পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠান বা পূজা-অর্চনা কিন্তু সেখানে হয়ে থাকে।’
ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে কলাবাগান থানার ভবন নির্মাণ করছে, এমন একটি ধারণা জনসাধারণের মধ্যে তৈরি হয়েছে। সেজন্য, মূলত কথা বলা। রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে যে থানা নির্মাণ করা হবে, সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ জমিটির মালিক। এই জমি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জমি না। এটা সরকারেরর জমি। পুলিশকে দেওয়া হয়েছে, থানা ভবন করার জন্য।’
গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার বলেন, ‘এখানে থানা ভবন নির্মাণ করার জন্য যে প্রস্তাবটি দেওয়া হয়, সেটি দেওয়ার পরে সরকারের যে ভূমি অধিগ্রহণ কমিটি রয়েছে, ওই কমিটি সব নিয়মকানুন মেনে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে জমিটি অধিগ্রহণ করা হয়। ঢাকার জেলা প্রশাসন জমিটি অধিগ্রহণ করে। ডিএমপিকে তারা জমিটি বুঝিয়ে দেয়। এজন্য, ডিএমপির পক্ষ থেকে প্রায় ২৭ কোটি টাকা সরকারকে প্রদান করা হয়। তারপর সরকার থানা ভবন নির্মাণ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়। সেই অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সেখানে থানা ভবন নির্মাণের জন্য সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু হয়েছে।’
ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘পাবলিকের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে, এই মাঠটি হয়তো দখল করে থানা নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি তা নয়, এটি সরকারি জমি। কলাবাগান থানা করার জন্য এটি সরকার দিয়েছে। সব নিয়মকানুন এবং ডিপার্টমেন্টের ছাড়পত্র দেওয়ার পরেই এ জমি ডিএমপিকে বুঝে দেওয়া হয়েছে। টাকা বরাদ্দ হওয়ার পরেই আমরা নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। সরকার যদি নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলে, সেক্ষেত্রে হয়তো ডিএমপি সিদ্ধান্ত নেবে, সেখানে ভবন নির্মাণ চলবে কি চলবে না।’